টুইটার অ্যাকাউন্টে ‘ব্লু টিক’ থাকা মানেই তার ব্যাপারই আলাদা। যে কেউ ব্লু টিকের অধিকারী হতে পারেন না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন যাঁরা তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। এর অর্থ সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর পরিচয় ভেরিফিকেশন করে নিয়েছে টুইটার সংস্থা। ব্লু টিক পেলে অতিরিক্ত কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। এতদিন এর জন্য কোনও অর্থকড়ি দিতে হত না। কিন্তু এবার হয়তো দিতে হবে।
ক’দিন আগেই টুইটারের মালিকানা হাতে নিয়েছেন টেসলার সিইও এলন মাস্ক। দায়িত্বে এসেই রদবদলে মন দিয়েছেন তিনি। প্রথমেই সিইও পরাগ আগরওয়ালকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছেন। আইনি পরামর্শদাতা দলের শীর্ষপদে থাকা কিছু কর্মীকেও তাড়িয়েছেন মাস্ক। এমনকী টুইটারের কর্মীর সংখ্যা কমাতে চান তিনি, তার জন্য কর্মীদের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন। এবার ব্লু টিকের জন্য অ্যাকাউন্ট অধিকারীদের থেকে মাসে মাসে পয়সা নেবেন তিনি বলে খবর।
টুইট করে মাস্ক বলেছিলেন, পুরো অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়াটাই ঢেলে সাজাবেন তিনি। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও জানা যাচ্ছে, অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড তকমা পেতে মাসে মাসে ৪.৯৯ ডলার (৪১০.৯৮ টাকা) খরচ করতে হবে টুইটারাত্তিদের। এই সাবস্ক্রিপশন না করলে ব্লু টিকের ‘মর্যাদা’ থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে ব্লু টিক চালু করেছিল টুইটার। ব্লু টিকওয়ালা অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা তাঁদের টুইট একবার পোস্ট করার পর ফের এডিট করতে পারবেন যা সাধারণ ব্যবহারকারীরা পারেন না। এই ফিচার আসার পেছনে দায়ী সেই এলন মাস্কই। এডিট অপশন থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে তিনি টুইটারেই একটি ভোটের ব্যবস্থা করেন। তিনি নিজে তো বটেই ৭০ শতাংশ মানুষ হ্যাঁ-তেই ভোট দেন। বাইরে থেকেই যখন এত বড় একটা প্রভাব ফেলতে পারেন, সেখানে মালিকানা হাতে নিয়ে নিশ্চয়ই চুপ করে বসে থাকবেন না ধনকুবেরটি।