বহরমপুর: জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ তৃণমুল (TMC) শিবিরে। বুধবার বহরমপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা কমিটির ২১১ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়। সেই সময় সভা ছেড়ে চলে যান তৃণমূল সাংসদ ও মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের খান (Abu Taher Khan)। এদিন জেলা কমিটি ঘোষণা করেছিলেন বহরমপুর (Berhampore) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ রায়। ওই কমিটি ঘোষণার আগে আবু তাহের খানকে কমিটির তালিকা দেখানো মাত্রই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ। এরপর ওই সভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তাঁকে না জানিয়েই কমিটির তালিকা হয়েছে বলে দাবি করেন আবু তাহের।
তিনি বলেন, এই তালিকাার বিষয় আমি কিছুই জানি না। শেষ মুহূর্তে আমাকে সাংবাদিক সম্মেলনের সময় দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কিছু না দেখে ওই তালিকা প্রকাশে আমি থাকব না। তাই আমি উঠে চলে এসেছি।
বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন বলে জানান তিনি। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, রাজ্য থেকে ওই তালিকা এসেছে। সেই জেলা কমিটির তালিকা ঘোষণা করছেন তিনি। তবে আবু তাহের খান কেন উঠে গেলেন, সেটা তিনিই বলতে পারবেন। তবে আবু তাহের খানের ৩৫ জন অনুগামীর নাম রয়েছে বলে দাবি করেন শাওনি।
আরও পড়ুন: Ekbalpur Violence | একবালপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত ৭ ফেরারির খোঁঁজে পুরস্কার ঘোষণা এনআইএ-র
এদিকে সামনেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) রয়েছে। তার আগে শাসকদলের নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই কোণঠাসা তৃণমূল। রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রায় রোজই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূলের নেতানেত্রীদের। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং বিতর্কিত মন্তব্য অনেকটাই ব্যাক ফুটে ফেলে দিয়েছে শাসক দলকে। এদিন সিপিএমের কর্মীর উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগে ফের একবার বিতর্কের মুখে পড়ল শাসকদল।
সে কথা মাথায় রেখে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে জেলা সফরে নেমেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার খেজুরি থেকে দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে পথে নেবে লড়াইয়েরও বার্তা দেন নেত্রী। এমনকী আগামী পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর উপর ভরসা করারও আহ্বান জানান মমতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০২১-এর পথে হেঁটে মমতাকেই সামনে রেখে লড়তে চাইছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূল তাদের দুর্নীতিকে পিছনে রেখে পঞ্চায়েতে কতটা ভালো ফল করতে পারে তা সময়ই বলবে।