ওয়েব ডেস্ক: চাকরিহারা ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২০১৬ এসএসসি প্যানেল। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেন। আর সেই বৈঠক থেকেই আজ সোমবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান তাঁর ৫টি পরিকল্পনা আগে থেকেই ঠিক করা আছে। পাশাপাশি, তিনি বলেন প্রাণ থাকাতেও তিনি কোন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের চাকরি যেতে দেবেন না এবং এই বলার জন্য তাঁকে যদি জেল যেতে হয় তিনি তাতেও পরোয়া করেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Verdict) এই রায় তিনি যে মেনে নিতে পারেননি সেকথা আগেও বলেছিলেন, আজ একবার ফের স্পষ্ট করলেন তিনি। সেই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০২২ সাল থেকে একটা নোংরা খেলা শুরু হয়েছে।
এই অবস্থা আমাদের সকলকে সঙ্কটের মধ্যে এনে দাঁড় করিয়েছে। আমাকে জেলে ভরে দিতে পারে, আমার কথা ট্যাপ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাবেন। আই ডোন্ট কেয়ার। আমিও আইন জানি, আইনজীবী হিসেবে অনেক কেস লড়েছি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি কেস স্টাডি করে দেখছিলাম। ভাইস চ্যান্সেলাররা রয়েছেন, আপনাদের সাপোর্ট দিতে এসেছেন। যাঁরা যোগ্য, বঞ্চিত হয়েছেন, দুটো ভাগে ভাগ করি। সুপ্রিম কোর্ট জানাতে পারেনি, কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য। আইনের বিধানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১০ হাজার অপরাধী সাজা পেয়ে যাক, এক জন নিরপরাধও যেন সাজা না পান। ২০২২ সাল থেকে একটা নোংরা খেলা হয়েছে।
এই চাকরি কেড়ে নেওয়ার নেপথ্যের কারা? চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, চাকরি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। যারা চাকরি কেড়ে নেয়, আমি তাদের ধিক্কার জানাই। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কারুর চাকরি খাইনি, কাজ করতে গেলে একটা দুটো ভুল হয়। আমাদের হৃদয় পাথর নয়। সবার অস্মিতা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আছে, সেই কথা অস্বীকার করতে পারি না। আমি বেঁচে থাকাকালীন চাকরি প্রার্থীদের চাকরি যেতে দেব না, এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।
দেখুন অন্য খবর