নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ড যখন দেশকে চমকে দিয়েছে, ঠিক তার মাঝেই ফের এক খুনের ঘটনা। লিভ ইন পার্টনারকে কুপিয়ে খুন তারই সঙ্গী। অভিযুক্তের নাম মনপ্রীত। তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ শুক্রবার মনপ্রীতকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত আফতাবের থেকেই সে অনুপ্রাণিত হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে রেখার সঙ্গে মনপ্রীতের আলাপ। তারপর থেকে তাদের মধ্যে মেলামেশা বাড়তে থাকে। শেষে সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। ৩৫ বছরের রেখা তাঁর ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে দিল্লির গণেশনগরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এমনকী মনপ্রীত বিবাহিত এবং তার দুই সন্তানও রয়েছে।
আরও পড়ুন:Sundar Pichai: ভারত সরকারের থেকে পদ্মভূষণ সম্মান পেলেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় মনপ্রীত স্বীকার করে, রেখার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অসুবিধায় তিনি। তাই সে রেখাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১ ডিসেম্বর গণেশনগরের বাড়িতেই ছিল মনপ্রীত। সেই সময় রেখার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় মনপ্রীত। তারপরই ছুরি দিয়ে রেখাকে কুপিয়ে খুন করে সে। রেখার চোয়ালে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই আঘাত কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। দেহ লোপাটের জন্য ছুরি দিয়ে টুকরো কুকরো করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু রেখার মেয়ে জেগে যাবে ভেবে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই মনপ্রীতের বিরুদ্ধে একাধিক অপহরণ ও খুনের অভিযোগ রয়েছে। তাকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।