জঙ্গলমহল: চারদিন পরেও স্তব্ধ জঙ্গলমহল (Jangalmahal)। আদিবাসী কুড়মি (Kurmi) জাতিকে তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই রিপোর্টে কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ‘ঘাগর ঘেরা’ অবরোধ কর্মসূচি। আজ ৯৬ ঘণ্টা পার করেও চলছে রেল রোকো আন্দোলন। একদিকে খড়্গপুরের খেমাশুলি, অন্যদিকে পুরুলিয়ার কুস্তাউরে অবরোধ কর্মসূচি চলছে। ১০০ বেশি ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক। যার জেরে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।
আপাতত ৭২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলেই খবর মিলেছে। ঘুরপথে চালানো হচ্ছে একাধিক ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, লোকমান্য তিলক,ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রে-সহ একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও উত্তর না মেলায়, আন্দোলন জারি রাখবে তারা এমনটাই শনিবারও জানিয়েছেন কুড়মি সমাজের নেতারা। এদিন খড়গপুর রেল ডিভিশনের খেমাশুলি স্টেশনে কুড়মিদের রেল রোকো কর্মসূচি চলে। হাতে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন নিয়ে দাবি আদায়ে সুর চড়া করতে থাকেন কুড়মিরা।
আরও পড়ুন: Birbhum TMC Inner Clash | নানুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সভায় ডাক পেলেন না বিধায়ক
আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেছেন, বিগত রেল অবরোধের সময় আমাদেরকে বলা হল দেড় মাসের মধ্যেই যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কোনও কিছুই হয়নি। আমরা কোনও অন্যায় দাবি করছি না। আগামী দিন কোটশিলাতে রেল ও রাজ্য সড়কে অন্দোলন শুরু হবে। আমাদেরকে নিয়ে যেন তামাশার খেলা না করা হয়। প্রতেকটি বিধানসভায় কুড়মি জাতির ভোট রয়েছে।