ভাঙড়: ভাঙড়ে ফের বস্তা বোঝাই বোমা (Bombs) উদ্ধার, সঙ্গে বন্দুকও পাওয়া গিয়েছে। তৃণমূল নেতা আরাবুল(Arabul) ইসলামের বাড়ির পিছন থেকেই পুলিশ বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র(Firearm) উদ্ধার করে।
অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের(ISF) কর্মী সমর্থকেরা আরাবুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালানোর মতলবে ওই বোমা বন্দুক( Gun) মজুত করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশকর্মীরা ওই জায়গায় হানা দিলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিবুল ইসলাম জানান, গতকাল রাতে আইএসএফের(ISF) কর্মীরা বন্দুক ও বোমা নিয়ে বসেছিল। তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালনোর মতলবে। সাধারণ মানুষ বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এই ঘটনায় তিনজন আইএসএফের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: Engineering Student Gokulraj Death: খুনের ঘটনায় মন্দির পরিদর্শনে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দুই বিচারপতি
শনিবার ধর্মতলায় আইএসএফের সভা ঘিরে গন্ডগোল বাধে। বিক্ষুব্ধ জনতার উপর পুলিশ(Police) কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। তারাও লাঠি নিয়ে পুলিশের দিকে ধেয়ে যায়। পুলিশ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে আটক করে। ঘটনায় দুই পক্ষের অনেকেই আহত হয়ছিলেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ৪৩ জনকে গ্রেফতার(Arrested) করেছে। আজ তাদেরকে বারুইপুর কোর্টে তোলা হয়, বিচারক তাঁদের প্রত্যেককে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, বিনা প্ররোচনায় পুলিশকে আক্রমণ করেছেন আইএসএফের কর্মীরা। তাই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে এবং আত্মরক্ষার জন্যই পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
এদিকে দলীয় কর্মসূচি নিয়ে আজ সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে হাজির হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে শনিবার আইএসএফ-এর সাথে গন্ডগোল প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ওরা তৃণমূলের ভোট কেটেছে। তাই বিষয়টা সহ্য হচ্ছে না। যে কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। শুধু এটাই নয়, রাজ্যে সর্বত্র বিরোধীদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটছে।