জলপাইগুড়ি: আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের (Police) প্রিজন ভ্যান (Prison Van) থেকে পালিয়ে গেল দুই অপরাধী (Criminal)। বানারহাট থানা (Banarhat Police Station) থেকে জলপাইগুড়ি আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে হলদিবাড়ি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বানারহাট থানার পুলিশের ভূমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার অন্তর্গত হলদিবাড়ি চা-বাগান এলাকায়।
পলাতক দুই আসামীর নাম তবরেজ আনসারি (৩৩) এবং দিলসাদ আনসারি (২২)। তারা ডুয়ার্সের চামুর্চি এলাকার বাসিন্দা। ডাকাত সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করেছিল বানারহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলাও করা হয়েছিল। শনিবার ডাকাতির কেসের ওই দুই আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হলদিবাড়ি প্রবেশের সময় সেখানকার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে খারাপ রাস্তা ছিল। যার কারণে প্রিজন ভ্যানের গতি কম ছিল। সেই সুযোগেই প্রিজন ভ্যান থেকে লাফ মেরে পালিয়ে যায় দুই অপরাধী। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন:Howrah Amta Local | আমতা লাইনে ফের ব্যাহত ট্রেন চলাচল
ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কী করে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। সাধারণত প্রিজন ভ্যানে আসামী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। গাড়ির ভেতরে রাখা হয় সশস্ত্র পুলিশ। এমনকি ভ্যানের গেট বাইরে থেকে লক করে রাখার কথা। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয়গুলিকে মানা হয়েছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
যদিও ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার খাণ্ডেবহালে উমেশ গণপত বলেন, বানারহাট থানায় যে ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ তদন্ত করছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত অপরাধীরা ধরা পড়েনি। সূত্রের খবর এই ঘটনার জন্যে বানারহাট থানার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত করবে জেলা পুলিশ। জলপাইগুড়ির ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা বলেন, বানারহাটের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পলাতক আসামীরা ডাকাতি কেসের আসামী ছিল।