খয়রাশোল: বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানা এলাকায় এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কাঁকরতলা থানার ওসি বদল। ওসি শামিম খানকে ক্লোজ করা হয়েছে। পরিবর্তে কাঁকরতলা থানার ওসি হলেন সায়ন্তন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার রাতে খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত অজয় নদ লাগোয়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সেখানেই পুলিশের ব্যর্থতার বিষয় উঠে আসে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পরিবর্তন করা হল থানার ওসিকে।
আরও পড়ুন: এই সেঞ্চুরি সঞ্জুর জীবন বদলে দেবে, বলছেন গাভাসকর
প্রসঙ্গত, বীরভূমে স্টোনমান কাণ্ডের ছায়া ধরা পড়ে। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্যের জেরেই বুধবার রাতে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের ঘটনা ঘটে বীরভূমের খয়রাশোলে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শেখ মতিন ছিলেন তৃণমূল কর্মী। তাঁকে বিরোধীদলের বেশকিছু লোক দীর্ঘদিন ধরে খুনের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ।
খুন হওয়ার দিন সন্ধ্যায় মাতিনের বাড়িতে খুনি সহ মোট নয় জন বসে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে মিটিং করেছিল। সেই মিটিং শেষ হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে একটা ফোন আসে। ঘরের কাউকে কিছু না বলে আসছি বলে বেরিয়ে যান মাতিন। তারপরেই হঠাৎই তাঁর চিৎকার শোনা যায়। চিৎকার শুনে ছুটে যায় তাঁর ভাইপো। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীর পারে দেখতে পায় তাঁর প্রতিবেশী শেখ মুজিবুল, শেখ রকিবুল মাতিনের হাত পিছন থেকে ধরে রয়েছে। আর শেখ রবিউল সহ বাকিরা পাথর দিয়ে তাঁর মুখ থেতলে দিচ্ছে। সেই দৃশ্য দেখে কার্যত চিৎকার শুরু করে তার ভাইপো। তখনই গ্রামবাসীরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। কার্যত মাথা থেতলানো অবস্থায় গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে নাকরাকোন্দা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ওই ন’জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে থেকে শেখ সাকির ও শেখ হাসুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুইজনকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে আদালত সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন ।
যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল ব্লক পরিচালন কমিটির সদস্য উজ্জ্বল কাদেরী বলেন, এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক রঙ নেই। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এই খুন হয়েছে