কলকাতা: রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কোনও আলোচনাই হবে না। একই সঙ্গে সরকার পক্ষের আনা আস্থা প্রস্তাব নিয়েও বিধানসভায় (Assembly) আলোচনা হবে না। শুক্রবার এ কথা জানিয়ে দেওয়া হল বিধানসভার অধিবেশনে। এই দুই প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকার (Deputy Speaker) আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেন স্পিকার । এদিন অধিবেশন শেষে ডেপুটি স্পিকার তাঁর রুলিংয়ে জানান, তিনি দুটি প্রস্তাবই খতিয়ে দেখেছেন। প্রস্তাবদুটির বক্তব্য পরস্পরবিরোধী হলেও বিষয়বস্তু একই। তবে বিরোধী দলনেতার আনা প্রস্তাবে কিছু পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে। অন্যদিকে সরকার পক্ষের তরফে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) সহ অন্যরা যে প্রস্তাব এনেছেন, বিধি অনুযায়ী তার উপর আলোচনাও বাধ্যতামূলক নয়। ডেপুটি স্পিকার জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য যেহেতু সোমবার অধিবেশন শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই ওই দুই প্রস্তাব নিয়ে আর আলোচনার অবকাশ নেই।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি সদস্য স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন বিধানসভায় বেশ কিছুদিন আগে। তারই পাল্টা হিসেবে সরকার পক্ষ স্পিকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে প্রস্তাব আনে। ৬ মার্চ বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই দুই প্রস্তাব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেদিন বলা হয়েছিল,পরে এ নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।
আরও পড়ুন : Baruipur Incident | উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু, প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
প্রসঙ্গত, বিধানসভার দ্বিতীয় পর্যায়ের অধিবেশন ৬ মার্চ থেকে শুরু হয়। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিরোধী বিজেপি স্পিকারের বিরুদ্ধে বারে বারে পক্ষপাতিত্ব অভিযোগ এনেছে। বিধানসভার মধ্যে একাধিকবার বিরোধী দলনেতা ওই অভিযোগে সরব হন। লবিতে নিজের চেম্বারেও বসে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, স্পিকার মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রুলিং দেন। এসব অভিযোগকে সামনে রেখেই বিজেপি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে তা নিয়ে যে আলোচনা হবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল বিরোধী দল। সরকার পক্ষ্ এই প্রস্তাবেরই বিরুদ্ধে স্পিকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে পাল্টা প্রস্তাব আনে। এদিন দুটি প্রস্তাব নিয়েই আলোচনার বিষয়টি খারিজ করে দিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, রাজ্যে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ও বেশি ভুয়ো জব কার্ড রয়েছে।পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে।