কলকাতা: এবার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব করল সিবিআই। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই তথ্য আগেই চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এ ব্যাপারে আগেই তথ্য জমা দিতে পর্ষদকে জানিয়েছিল সিবিআই (CBI)। তাই ধাপে ধাপে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে পর্ষদ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। পর্ষদের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এক্সেল সিট ১ এবং ২-তে এই তথ্য পাঠাতে হবে। মোট ছটি জিনিস চাওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাকরির নিয়োগপত্র, অ্যাডমিট কার্ড, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র, কেস সার্টিফিকেট, এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট এবং টেট পরীক্ষায় পাশ করা শংসাপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি, জেলা স্তরের স্কুলের সাব ইন্সপেক্টরদের উদ্দেশে এই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভুম জেলা থেকে তথ্য এই তথ্য পর্ষদে পাটানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঝাড়গ্রাম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলায় পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলতি মাসেই তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Incident | জলপাইগুড়িতে দম্পতি আত্মঘাতী, গ্রেফতার তৃণমূল কাউন্সিলার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যাবতীয় তথ্য জমা কলকাতায় সিবিআইের নিজাম প্যালেসে জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৬,২০১৭ ও ২০১৮ সালে যারা রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে চাকরি পেয়েছেন মূলত তাঁদের এই তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। এই তথ্য সিবিআইয়ের হাতে জমা পড়লে তদন্তে গতি পাবে বলেই মনে করছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।