কলকাতা: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘোষণা পর আশায় বুক বাঁধছেন সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা (Civic Volunteer)। রাজ্যের একাধিক জেলায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে পুলিশের পাশাপাশি কয়েক হাজার যুবক সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের কখনও দেখা যায় বিভিন্ন থানা বা বিভিন্ন রাস্তার ট্রাফিক সামলাতেও। কিংবা কখনও পুলিশের সঙ্গে তল্লাশি অভিযানেও।
এবার সিভিক ভলেন্টিয়াররা ভালো কাজ করলে তাঁদের পুলিশের স্থায়ী চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই ঘোষণা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যে। সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পদোন্নতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দেন বলেও সূত্রের খবর। সোমবার নবান্নে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এই খবর সামনে আসতেই সিভিক ভলেন্টিয়ার জানান, সারা বছর ধরে পুজো, বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং সাধারণ দিনেও নিজের কর্তব্য পালন করে চলছে সিভিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে বহু সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে বলে তাঁরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন:TMC Inner Clash: আর কত খাবে, পঞ্চায়েত প্রধানকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের
তবে জানা যায় কারা এই পদোন্নতির জন্য গ্রহণযোগ্য হবে তা বিবেচনা করা হবে তাঁদের রিপোর্ট কার্ড অনুযায়ী। সেই রিপোর্ট কার্ড দেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।সূত্রের খবর, বাছাই পর্বে রয়েছে বেশকিছু শর্ত। নবান্নের এদিনের আলোচনা অনুযায়ী, এতদিন ধরে প্রত্যেক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কেমন কাজ করেছে, সেই কাজের উপরেই করা হবে এই মূল্যায়ন। যেই থানা এলাকায় যেই সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজ করছেন, সেই থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং এসডিপিও করবেন এই মূল্যায়ন। এছাড়াও যেই থানায় কনস্টেবলের পদ শূন্য রয়েছে, সেই থানাতেই পদোন্নতির পর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করার ভাবনা নবান্নের। এদিকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক সমীকরণ দেখছে বিরধীরা। এই সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদলের নয়া কৌসল বলে মত বিরোধীদের।