ভাঙড়: রোজা মিটতেই আইএসএফ (ISF)-তৃণমূল (TMC) সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল ভাঙড়ের (Bhangar) শকুনতলা এলাকায়। ঘটনায় আহত দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। ঘটনাস্থলে ভাঙড় থানার পুলিশ (Police)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে শকুনতলা এলাকায় আইএসএফ নেতা মীর আব্দুর সামেদের বাড়িতে আসেন চন্দনেশ্বর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আইএসএফ সভাপতি মীর নিজামুদ্দিন সহ তাঁর বেশ কিছু অনুগামী। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ আমন সহ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী তাঁদের উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে।
যদিও তৃণমূলের দাবি, ইদের দিন বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে রাস্তার ধারে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আইএসএফ কর্মীরা। তারপর দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটি ও পরে মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাঙড় থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:Kaliaganj Agitation | কালিয়াগঞ্জ উত্তাল বিক্ষোভে, ভাঙচুর, আগুন
ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক (ISF MLA) নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique) জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। জেল থেকে বেরিয়েই নওশাদ হুমকি দিয়েছেন, এবার ভাঙড়ে পঞ্চায়েত থেকেও তৃণমূলকে হঠাতে হবে। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়ে তৃণমূলও। দুই দলের চ্যালেঞ্জ-পাল্টা চ্যালেঞ্জকে ঘিরে এখন বেশ গরম ভাঙরের রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে, তা ঠিক নেই। তবে দুই পক্ষই পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তা নিয়েই দুই দলের মধ্যে মাঝেমাঝেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। জেলমুক্তির পরেই নওশাদ দাবি করেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলে ভাঙড়ে তৃণমূলের অস্তিত্বই থাকবে না।