খড়দহ: ফের রাজ্যে বিপুল অঙ্কের টাকার হদিশ। শুক্রবার খড়দহের নাথুপাল ঘাট রোড এলাকার এক প্রফেসরের বাড়ি থেকে ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর গোয়েন্দা বিভাগ। ধৃত ওই প্রফেসরের নাম অমিতাভ দাস। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই প্রফেসরের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা। সেই অভিযানে ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, একজন প্রফেসরের বাড়িতে এত টাকা কীভাবে এল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ বছরের বেশি সময় ধরে ওই এলাকার একটি আবাসনে স্ত্রী বর্ণালী সাধুখাঁ এবং সন্তানকে নিয়ে থাকতেন অমিতাভ। এলাকায় যথেষ্ট ভালো ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি। প্রতিবেশীরা জানান, ঠিক কী কারণে পুলিশ এসে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ চালায়, সে ব্যাপারে তাঁদের কাছে স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পুলিশ খবর পায়, নাথুপাল ঘাট রোড এলাকার শিরোমণি আবাসনের বাসিন্দা অমিতাভ দাসের বাড়িতে নগদ এক কোটি টাকা রয়েছে। খবর পেয়েই অমিতাভর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। শুরু হয় তল্লাশি। সেখানে মোটা অঙ্কের টাকার হদিশ মিলতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অমিতাভকে। কিন্তু এ বিষয়ে অমিতাভ কোনও সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:Jack Ma: নিজের সংস্থাতেই কোণঠাসা প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, নিয়ন্ত্রণ হাতাছাড়া হচ্ছে অ্যান্ট গ্রুপের
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া জানান, জেরায় অমিতাভ জানিয়েছে, তিনি পেশায় প্রফেসর। একইসঙ্গে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে কমিশন নিত। যদিও পুলিশ অমিতাভর এই কথাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পিছনে আর কোনও কারণ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অমিতাভর তিনটি অফিসের খোঁজ মিলেছে। খড়দহ ছাড়াও বারাসত এবং হাবড়াতে রয়েছে অমিতাভর এই অফিস। সেখানেও তল্লাশি চালাতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাটে গত জুলাই মাসে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকার গয়নাগাঁটিও। অমিতাভর ফ্ল্যাটে টাকা পাওয়ার সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।