বসিরহাট: রাস্তায় দেখা নেই ভ্যান, রিক্সা, সাইকেল থেকে মোটরবাইকের। যাতায়াত হচ্ছে থার্মোকল ও কলা গাছের ভেলা নৌকায়। জলমগ্ন এলাকায় ত্রানের জন্য বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুই ও পান্তাপাড়া গ্রামে এমনই ছবি দেখা গেল। ইছামতি নদীর জল বাধ ছাপিয়ে গ্রামে ঢুকেছে। অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টির ফলে জলবন্দী হয়ে পড়েছেন গ্রামের প্রায় ১৫০টি পরিবারের ৬০০ জন। কোথাও এক হাঁটু জল আবার কোথায় কোমর পর্যন্ত। রাস্তাঘাট স্কুল বাড়ি থৈ থৈ করছে জলে। পানীয় জলের কল ডুবে গিয়েছে। একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হল কলা গাছের ভ্যালা, ছোট ডিঙি নৌকা। কখনও জল আনতে বা বাজার করতে গেলে উঁচু জায়গায় আসতে ওই ভ্যালার উপর নির্ভর করেতে হচ্ছে।
এদিকে গ্রামবাসীদের চাষ করা সবজি, ফসল সবই নোনা জলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের মাঠের জায়গা নোনা জলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কাজ করতে বাইরে যেতে পারছেন না কেউ। একমাত্র সরকারি ত্রাণের উপর নির্ভর করে চলছে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের বেঁচে থাকার লড়াই। অভিযোগ, ত্রাণ পাচ্ছেন না অনেকেই। চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসলাম উদ্দিন বলেন, ওই এলাকার জলবন্দী বারবার বলেছিলাম রসুই গ্রামের মানুষকে হালদারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সবাইকে চলে আসতে। তবে কিছু মানুষ এলেও বাকিরা গ্রাম ছেড়ে আসেননি। ওখানে ত্রাণ দেওয়া খুবই অসুবিধা। যাঁরা সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা সবাই শিবিরে চলে এসেছেন। আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি।
আরও পড়ুন: এবার ন্যাশনাল মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের অভিযোগ