উত্তর ২৪ পরগনা: কৃষিকাজের সুবিধার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির (Modern Technology) ব্যবহার বাড়ছে। তাই এবার উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার বসিরহাটের কৃষকদের এগ্রিকালচার ড্রোন (Agricultural Drone) সহ একাধিক আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে বিশেষ কর্মশালার (Workshop) আয়োজন হল সুন্দরবনে। রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের আর্থিক সহযোগিতায় বসিরহাটের সুন্দরবনের হাড়োয়া ব্লকে প্রথমবার এগ্রিকালচারাল ড্রোন টেকনোলজি আত্মপ্রকাশ করল।
এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই জমিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জলসেচ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ঔষধি ও অনুখাদ্য ইত্যাদি প্রয়োগ করা যাবে। ফলস্বরূপ কমবে চাষের খরচ। পাশাপাশি কৃষিকার্য হবে পরিবেশবান্ধব, উচ্চ-ফলনশীল ও সার্বিকভাবে লাভজনক।
আরও পড়ুন: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল বিশালাকার বাঘ! সুন্দরবনে হইচই কাণ্ড
উল্লেখ্য, হাড়োয়া ব্লকে আরও দু’টি সরকার স্বীকৃত কৃষক-সংস্থা কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া দেওয়া শুরু করেছে। সেখানে ট্রাক্টর, মিনি রাইস মিল ও রোটাভেটর প্রভৃতি যন্ত্রপাতি উপলব্ধ আছে। এতে যেমন স্থানীয় কৃষকরা নিজের জমিতে চাষের জন্য সুলভ মূল্যে প্ৰয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ভাড়ায় নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন, তেমনই সংশ্লিষ্ট কৃষক উৎপাদন গোষ্ঠীও অর্থনৈতিকভাবে লাভের মুখ দেখবে।
প্রসঙ্গত, এগ্রিকালচার ড্রোনের সাহায্যে ১০ লিটার জলে ১ একর কৃষি জমিতে স্প্রে করা যায়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার বা ধান রোয়া যন্ত্রের মাধ্যমে ১ বিঘা জমিতে রোপণ করতে ৪০ মিনিট সময় লাগে এবং এতে এক বিঘা জমির খরচ মাত্র ৭৫০ টাকা। এদিকে মিনি রাইস মিলের মাধ্যমে বাড়িতেই কম খরচে ধান ভাঙ্গানো যায়। পালভারাইজারের মাধ্যমে কম খরচে গম ও চাল ভাঙ্গিয়ে আটা তৈরি করা যায়। পাশাপাশি চাপ কাটারের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে খড় কাটা যায়। পাওয়ার উইডারের কাজ জমি চাষ করা, আলু তোলা ও জমিতে আল কাটা যায়। পাশাপাশি, পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে কম সময়ে জমি চাষ করা যায়।
দেখুন আরও খবর: