বউবাজার মদন দত্ত লেনে চিড় ধরা বাড়িগুলি পরীক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। বাড়িগুলি ভাঙতে হবে কি না তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাদের পরিদর্শনের পরেই। শুক্রবার মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কাজের জেরে ১২টি বাড়িতে ফাটল ধরে।
শনিবার নবান্নে বউবাজারের বিপর্যয় নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতা পুলিশের কমিশনার, কলকাতা পুরসভার কমিশনার, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের এমডি ও অন্যান্য অফিসার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেগুলি হল–
১) ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাঁদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। ছাত্রছাত্রী, রোগী এবং ঝুঁকিপূর্ণদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট, বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে ফের প্যারোল রাম রহিমের
২) এই কাজের জন্য মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্প করতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের (বিধায়ক, সাংসদ, কাউন্সিলর, কলকাতা পুলিশ, কেএমসি আধিকারিক)।
৩) ১২টি বিল্ডিংয়ের ২৮টি পরিবারের ১৮০ জনকে আপাতত হোটেলে রাখা হয়েছে, তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে অথবা বিকল্প থাকার জায়গা দেওয়া হবে।
৪) ফের যদি মেট্রোর কাজ চলাকালীন কোনও বাড়িতে ফাটল ধরে তবে এই একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
৫) প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
৬) ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদেরও নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। (প্রতি ১০০ বর্গফুটে দেড় লক্ষ টাকা)
৭) মেট্রোর কাজ শেষ হওয়ার পর সয়েল সেটলমেন্টের কারণে তিন বছরের মধ্যে কোনও সমস্যা যাতে না হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই। প্রসঙ্গত, মদন দত্ত লেনের ওই অংশে এখনও ছয় থেকে আট মাসের কাজ বাকি রয়েছে। এরকম ঘটনা এড়াতে যথাযথ মাটি পরীক্ষা করাতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।
৮) ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করতে হলে কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে আগাম খবর দিতে হবে কেএমআরসিএল-কে।