বৃহস্পতিবার গুজরাত বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (EC))। ভোট হবে দু’দফায়। প্রথম দফার ভোট ১ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফার ভোট ৫ ডিসেম্বর। ভোটগণনা ৮ ডিসেম্বর।
হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভা ভোট ১২ নভেম্বর। ভোটগণনা (counting) হবে ৮ ডিসেম্বর। হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের ফলাফল এবং গুজরাতের ফলাফল একইদিনে গণনা করা হতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কার্যত হচ্ছেও তাই।
২০১৭ সালে গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের (vote) দিন পৃথকভাবে ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সেবারও ভোটগণনা হয় একই দিনে। এবার হিমাচলপ্রদেশের সঙ্গেই কেন গুজরাত বিধানসভার ভোটের দিন ঘোষণা হল না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। কোনও কোনও মহলের অভিযোগ, গুজরাতে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস বকেয়া ছিল বলেই কমিশন সে রাজ্যের ভোট তখন ঘোষণা করেনি। সেই পর্ব মিটতেই নির্বাচন কমিশন এদিন গুজরাত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল। প্রসঙ্গত, গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতে একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন।
নির্বাচন কমিশন দু’দফায় গুজরাতে বিধানসভার ভোট ঘোষণা করবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনার অবসান হল।
আরও পড়ুন: Twitter: ব্যয় কমাতে অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই! কী শুরু করলেন টুইটারের মালিক?
গুজরাত বিধানসভায় মোট আসনের (seat) সংখ্যা ১৮২টি। গুজরাত বিধানসভা ভোটকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার এখন তুঙ্গে। লড়াই মূলত ত্রিমুখী। বিজেপির (Bjp) পাশাপাশি আপও গুজরাতের আসন্ন ভোটকে পাখির চোখ করে সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ওই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি নিয়ে চলেছে বিতর্ক। বিজেপি, আপ ছাড়া গুজরাত বিধানসভা ভোটে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস (congress)।