রাষ্ট্রপতির(President) উদ্দেশে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী(minister of state for Correctional Homes,) অখিল গিরির কুরুচিকর (Akhil Giri’s remarks) মন্তব্য নিয়ে রাজ্য সরকারের(state government) কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদৌ কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না। রাজ্য সরকার বুধবারই জানিয়েছিল, তারা ওই ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব(Chief Justice Prakash Srivastav) এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের(Justice Rajashri Bharadwaj) ডিভিশন বেঞ্চ (division bench)বৃহস্পতিবার জানতে চায়, বিভিন্ন থানায় মন্ত্রীর বিরু্দ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেগুলির ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। অখিল গিরির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি(advocate Phiroze Edulji) জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি নন্দীগ্রামে তৃণমূলের এক সভায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর(Drapaudi Murmu) চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করেন। সেই সময় সেখানে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য শশী পাঁজা(Shashi Panja), শিউলি সাহা-সহ শাসকদলের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাপরই অখিলের ওই মন্তব্য ঘিরে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি(BJP)-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অখিলের ইস্তফা দাবি করে। বিজেপি বিভিন্ন থানায় অখিলের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) ১৯৮৯ সালের এসসি-এসটি আইনে(Scheduled Tribes (Prevention of Atrocities) Act, 1989) মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন অখিলের বিরুদ্ধে পথে নামে। বিজেপির এক আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: National Commission for Women on Akhil Giri: চাপে অখিল, লিখিত ক্ষমা চাইতে বলল জাতীয় মহিলা কমিশন
সেই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, এসসি-এসটি আইনে এটা গুরুতর অপরাধ। মন্ত্রীর এখনও কোনও শাস্তি হয়নি। কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেও দায়ী করেন আইনজীবী। অখিলের আইনজীবী মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ রাখতে বলেন। তিনি বলেন, এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন কোথা থেকে। প্রধান বিচারপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন কেন, দায় এসেছে বলে? এরপর রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা তলব করে আদালত। আগামী ১২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই রাজ্য সরকারকে তার অবস্থান জানাতে হবে। একই সঙ্গে অখিল গিরিকেও বক্তব্য জানাতে হবে।