কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্তে নয়া সিট প্রধান হলেন ডিআইজি অশ্বিন শেনভি। সাতদিনের মধ্যে তাঁকে কলকাতায় এসে দায়িত্ব নিতে হবে বলে শুক্রবার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি চাই না, এই তদন্তও সারদার মতো মাঝপথে থমকে যাক।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিবিআই অফিসার অখিলেশ সিংকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তিনি এখন অন্য রাজ্যে কর্মরত। তাঁর পক্ষে এখানে আসা সম্ভব নয়। শুক্রবার বিচারপতি সিবিআইয়ের কাছে বিকল্প নামের তালিকা চান। সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য তিনজনের নামের তালিকা দেন। তাঁরা হলেন সুধাংশু খারে, মাইকেল রাজ এবং অশ্বিন শেনভি। বিচারপতি বলেন, আপনারা কিছুক্ষণের মধ্যে বলুন, কে দায়িত্ব নিতে পারবেন। তিনি এক সময় সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায়। বিল্বদল জানান, তিনি এখন গাজিয়াবাদের অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন। বিচারপতি বলেন, তিনটে পঁচিশের মধ্যে জানান, তাঁকে ফেরানো সম্ভব কি না। সিবিআইের আইনজীবী জানান, তাঁকে ফেরানো সম্ভব। এরপরই বিচারপতি ওই তিনজনের তালিকা থেকে অশ্বিন শেনভিকে বেছে নেন।
আরও পড়ুন: Abu Taher Khan: শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজনীতি কেন? তৃণমূল সাংসদকে ক্ষমা চাইতে বলল সুরক্ষা কমিশন
প্রসঙ্গত, অখিলেশ সিং এবং পঙ্কজ শ্রীবাস্তব এর আগে কলকাতায় কাজ করেছেন। নারদ কাণ্ডে পঙ্কজ তদন্তে ছিলেন। সারদা এবং নারদ কাণ্ডের তদন্ত চলাকালীনই তাঁকে কলকাতা থেকে বদলি করে দেওয়া হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এজলাসে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। সিটে বদল ঘটাতে হবে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। দু’দিন আগে সিটের দুই অফিসারকে সরিয়ে নতুন চারজনকে সিটে নিয়ে আসেন। তখনও বিচারপতি বলেন, সিটের মাথায় জিআইজি পদমর্যাদার কাউকে রাখতে হবে। শুক্রবার তিনি অশ্বিন শেনভিকেই বেছে নিলেন।