মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee) কেন নিয়মিত বিধানসভায় আসেন না, প্রশ্ন তুলে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেললেন প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের এই বিধায়ক তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে বলেন, আমি দশবারের বিধায়ক। আমি অজয় মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি। তাঁরা নিয়মিত বিধানসভায় আসতেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। আমরা চাই, উনি রোজ অন্তত এক ঘণ্টা করে বিধানসভায় আসুন।
রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় অনুপস্থিতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী সদস্যরা। বাম ও কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নিজের ইচ্ছেমতো বিধানসভায় আসেন। এবার বিধানসভায় বাম এবং কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। বিজেপি একাই বিরোধী। আর আইএসএফের একজন মাত্র বিধায়ক রয়েছেন। প্রধান বিরোধী দল প্রায়ই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে। এদিনও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লবিতে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে বিধানসভায় কোনও প্রশ্ন করা যায় না। কারণ, এই দুটি দফতর তাঁর হাতে। আমি ২০০৬ সালে বিরোধী দলে ছিলাম। তখন দেখেছি, বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নিয়মিত প্রশ্নের জবাব দিতেন। তিনি বিধানসভায় হাজির থাকতেন। অন্য মন্ত্রীরাও জবাব দিতেন, নতুবা সময় চেয়ে নিতেন। এই আমলে বিরোধীদের প্রশ্ন তোলার, কথা বলার কোনও অধিকার নেই।
আরও পড়ুন: Kolkata Murder: সোমবার রাতে কলকাতায় তরুণীকে খুনের অভিযোগ?
এদিন বিরোধীদের সুরেই দশবারের বিরোধী বিধায়ক করিম চৌধুরী বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দলীয় সূত্রে্র খবর, করিমের এই প্রশ্ন নিয়ে কেউ জবাব দেননি। বরং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বিধায়কদের সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে নিষেধ করে দেন। তিনি বলেন, অযথা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। দলীয় শৃঙ্খলা সবার আগে। তা মেনে চলতে হবে। সুব্রত বলেন, এমন কিছু বিধায়ক এই বৈঠকে হাজির আছেন, যাঁরা আলোচনার বিষয়বস্তু বেরিয়েই সাংবাদিকদের সামেন উগরে দেবেন। তিনি এই বিধায়কদেরও সতর্ক করে দেন।