কেশপুর: শনিবার কেশপুরের সমাবেশে (Keshpur Assembly) যাওয়ার আগে ফের জনসংযোগ সারলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। কেশপুরের আনন্দপুরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথেই খড়গপুরের বড়কলা ও মাতকাতপুর গ্রামে নেমে পড়েন অভিষেক। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। বাসিন্দারা জানান,প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা সেচ দফতরের জমিতে বসবাস করছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁরা পাট্টা (Patta)পাননি। ফলে সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের সামনেই অভিষেক সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করে গ্রামবাসীদের যত দ্রুত সম্ভব পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন।
পরে আনন্দপুরের সভায় অভিষেক (Abhishek) তাঁর গ্রামে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, আজও আমি এখানে আসার আগে দুটি গ্রামে যাই। মানুষের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনি। বাসিন্দারা পাট্টা না পাওয়ার কথা জানান। আমি সেখান থেকেই সেচমন্ত্রীকে ধরলাম। দলের নেতা-মন্ত্রীদের তিনি বলেন, আপনাদেরও এভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: দাদা ধরে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট মিলবে না, ফের হুঁশিয়ারি অভিষেকের
এর আগেও তিনি একাধিকবার দলীয় সমাবেশে (Assembly)যাওয়ার আগে কাউকে না জানিয়ে আচমকাই গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন। কাঁথির সমাবেশে যাওয়ার পথে মারিশদা পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন। সেখানে মূলত আদিবাসীদের বাস। ওই গ্রামেও বাসিন্দারা তাঁকে জানান, এখানে কোনও পরিষেবাই মেলে না। সমাবেশে পৌছেই যুবনেতা ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানের খোঁজ করেন, খোঁজ নেন দলের অঞ্চল সভাপতিরও। কিন্তু তিনজনের কেউই সেদিন হাজির ছিলেন না। মঞ্চ থেকেই তিনি তিন জনকেই ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিছুদিন পর একইভাবে রাণাঘাটেও গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ সেরেছিলেন, কথা বলেছিলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। পরে দলীয় সভায় ওই এলাকার পঞ্চায়েতে প্রধানকে পদত্যাগ করার কথা বলেন।