মুর্শিদাবাদ: শুক্রবারই সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়চেহে শিক্ষক দুর্নীতির (Recruitment Scam) সঙ্গে জড়িত কৌশিক ঘোষ (Kaushik Ghosh)। বহুলচর্চিত বাগদার সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের সঙ্গেই কৌশিক সহ আরও ছয়জনকে পাকড়াও করে সিবিআই। কৌশিক মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ভড়ঞা গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকাল থেকেই কৌশিকের গ্রামে চলছে নানা গুঞ্জন। কৌশিক গ্রেফতার হতেই বাড়িতে তালা মেরে বেপাত্তা পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ, পরিবারের একাধিক সদস্যকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার শতাধিক মানুষের কাছ থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে কৌশিক। এদিন সকাল থেকেই বাড়ির দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। গ্রামের কেউ কেউ কৌশিকের এই অপকীর্তিরয় কথা জানতেন। তবে এদিন সাংবাদিকদের সামনে কেউই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: শিক্ষা দুর্নীতি, উত্তরপ্রদেশে ইডি হানা নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধানের জবাব চাইলেন কুণাল
সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃত চন্দন-কৌশিকদের মতো এজেন্টদের মাধ্যমেই চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলে বেড়াত। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন রঞ্জন। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। কীভাবে এই চক্র চলত, চন্দনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
এই রঞ্জনের নাম প্রথম জানা যায় বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক এবং সিবিআইয়ের প্রাক্তন কর্তা উপেন বিশ্বাসের কাছ থেকে। তাঁর কাছে আসা এক প্রাক্তন সেনাকর্মী প্রথম উপেনকে রঞ্জনের কথা বলেন। ওই সেনাকর্মীর মাধ্যমেই তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাস জানতে পারেন, রঞ্জন টাকার বিনিময়ে অনেককে শিক্ষকতার চাকরি দিয়েছেন। বাগদার অনেক শিক্ষিত যুবক-যুবতী তাঁর মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন।