মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের রতনপুরে দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় রবিবার প্রতিবাদ মিছিল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন সকালে রতনপুর গ্রামে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন অধীর। সকাল এগারোটা থেকে সমর্থকদের নিয়ে নগর ব্লক অফিস মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিল হয় কংগ্রেসের। কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অধীর চৌধুরি প্রশ্ন তোলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি ভোট লুঠ করে করতেই হত, তবে কেন নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হল? ” পরিযায়ী শ্রমিক তথা কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে খুন করার অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুশলেন তিনি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, নিহতের পরিবারকে হেনন্তা করা হচ্ছে। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। গবাধি পশুদেরও লেজ কেটে নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের নামে কেন গরীবদের হত্যা করা হচ্ছে, তাও জানতে চান অধীর।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন (শুক্রবার)মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার রতনপুরের কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তির প্রথম থেকে ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, ফুলচাঁদ কেরলে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে কয়েকজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কতা বলছিলেন। সেই সময় কয়েকজন বাইক আরোহী এসে ফুলচাঁদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অভিযোগ, কয়েকজন বাধা দিতে গেলে তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় আহতও হয়েছেন তিন জন। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কংগ্রেস সমর্থকের। এই ঘটনায় খড়গ্রামের পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ।
মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় পরের দিনই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম সফিক শেখ ও কাবেল শেখ। ধৃতেরা রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবারই নিহত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কান্দি হাসপাতালে যান কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আজ দলীয় কর্মীর মৃত্যু ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।