কলকাতা: রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর (Mukut Mani Adhikari) বিয়ের মাত্র ১১ দিনের মাথায় অভিযোগ জানাতে স্ত্রী গিয়েছেন থানায়। বিধায়ক স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, ভয় দেখানো-সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন। বিধায়ক স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরীর অভিযোগ, গত ২৮ মে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। বিধায়কের মা, বাবা, ভাই, দিদি, জামাইবাবু সকলে সেখানে উপস্থিত থেকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে বিধায়ক তাঁকে স্ত্রীর পরিচয় দিতে নারাজ। তাঁর থেকে ১ কোটি টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে। আর ডিভোর্সের দাবি তুলে বিধায়ক মানসিক নির্যাতন করছেন।
এরপরই রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণির বিরুদ্ধে কলকাতার তিলজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের পর একাধিক বার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বেজে গিয়েছে। আইনের ছাত্রী স্বস্তিকার সঙ্গে মুকুটমণির সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই। গত ১৩ মার্চ আইনি বিবাহের জন্য আবেদন করেন তাঁরা। এর পরে বিবাহও হয়। দু’জনের পরিবারের লোকেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে বিয়েতে বাইরের কেউ আমন্ত্রিত ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের ঢিল পড়ল হাওড়া- নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে
তাহলে স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরীর কী অভিযোগ?
সবার সামনে রেজিস্ট্রি পেপারে সাক্ষী হিসেবে আমার মা এবং মুকুটমণির ভাই সই করেন। কিন্তু বিয়ের পরদিনই মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। আমি সামাজিক বিয়ের কথা বললে সেই স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। আমাদের বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ দিয়েছিল।
বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর কী বক্তব্য?
কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কারণ, তিনি ফোন ধরেননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি সম্পূর্ণ তদন্তসাপেক্ষ। এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণির সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি।