পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে চুরির ঘটনার দু’দিন পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে ডাকাত দলের সদস্যদের চিহ্নিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।জানাগিয়েছে ডাকাতির পরেও সোনার বিপনীতে থাকা অ্যালার্ম বাজানো হয়নি। এমনকী, ডাকাতি হওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর পালিশ জানতে পেরেছে ডাকাতির ঘটনা। যার কারণে পুলিশ ওই স্থানে আসার আগেই ডাকাত দলের সদস্যরা চম্পট দেয়।
তদন্তে গতি আনতে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জীর তত্ত্বাবধানে চার সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন দুই অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল এবং অম্লানকুসুম ঘোষ, ডিএসপি, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসাররা। গতকালই পুলিশের এক প্রতিনিধি দল পৌঁছে গিয়েছেন রানাঘাটে। সেখানে ধৃত দুষ্কৃতীদের জেরা করে পুরুলিয়ার ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনার যোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি স্কুলের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে
অন্যদিকে, পুরুলিয়া শহরের সিসি ক্যমেরার ফুটেজে ডাকাত দলের সদস্যদের ছবি এবং একটি দাবিদার বিহীন পরিত্যক্ত মোটরসাইকেল ছাড়া সেরকম কিছু তথ্য আপাতত পুলিশের হাতে আসেনি।
মঙ্গলবার দিনেদুপুরে ৭ জনের একটি ডাকাতদল পুরুলিয়া শহরের সোনার বিপনীতে গ্রাহক হিসেবে প্রবেশ করে প্রায় ৮ কোটি টাকার সোনা এবং হীরের অলঙ্কার এবং বিপনীর সিসি ফুটেজের হার্ডডিস্ক নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পর থেকেই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন অন্যান্য সোনার ব্যবসায়ীরা