Friday, June 27, 2025
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | মহুয়া মৈত্রকে সংসদে বলতে দেওয়া হবে না

Fourth Pillar | মহুয়া মৈত্রকে সংসদে বলতে দেওয়া হবে না

Follow Us :

এথিক্স কমিটি মাত্র ৭ দিনের মাথায় তাদের সুপারিশে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ মিডিয়াতে এসে গ্যালো। গৌতম আদানির সদ্য কেনা এন ডি টিভিতে ব্রেকিং নিউজ এল, জানা গ্যালো মহুয়া মৈত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। তো এক শেয়াল ডাক দিতেই অন্য শেয়ালেরাও হুক্কা হুয়া বলে মাঠে নেমে পড়লো। এ বাংলাতে তো এন ডি টিভি নেই তাই এন ডি টিভির ব্রেকিং নিউজ ঝেড়ে অন্য শেয়ালের দল আমোদিত কন্ঠে জানালো তাদের প্রভুকে চোর বলা, তাদের প্রভুর প্রভুর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আনা মহুয়া মৈত্রকে সংসদে আর বলতে দেওয়া হবে না। বটম লাইন হল, মহুয়া মৈত্র আদানির বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন, তার কন্ঠ রোধ করো। করা হল। এই এথিকস কমিটি চুপ করে বসে থাকে যখন গামছা আর ঠোঙা ভরে ঘুষ নেয় সাংসদেরা, বোবা লেগে যায় মুখে যখন এক ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে শাসক দলের এক সাংসদ সংসদের মধ্যেই কুৎসিত ভাষায় সংখ্যালঘুদের গালিগালাজ করে, এই এথিক্স পরিষদের ক্ষমতাই নেই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেষ করা যে আপনার সত্যি সত্যি শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটটা অন্তত জমা করুন, এই এথিক্স কমিটি চুপ করে বসে থাকে যখন এম পি এম এল এ কেনা বেচা হয় ছাগল ভেড়ার মত, এই এথিক্স কমিটির কিছুই করার থাকেনা যখন এক সংখ্যাগুরুবাদের ক্ষমতায় বলীয়ান এক সরকার নিজের ইচ্ছে খুশি মত বিল আনেন পেশ করেন, পাশ করান, আবার ইচ্ছে হলে তা ফিরিয়ে নেন। না এসব এবং আরও হাজারো আনএথিকাল, অনৈতিক বিষয়ে যাঁরা আজ নীতির প্রশ্নে মহুয়া মিত্রকে সংসদ থেকে বার করে দিয়ে আসলে বাকিদের সমঝে দিতে চান, তাঁরা চুপ করেই থাকেন।
মহুয়া মৈত্রের জীবন যাপন, তাঁর অর্থ, তাঁর ব্রান্ডেড জামা জুতো হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে চর্চায় মেতে উঠেছে যে গোদি দালাল মিডিয়া তাদের চোখেও পড়েনা এক ফকিরের পকেটে দেড় লক্ষ টাকার পেন, চোখে এক লক্ষ টাকার রদ চশমা। এসব তাদের চোখে পড়ার কথাও নয় কারণ তাঁদের প্রভু হলেন এনার মিত্র, কেউ কেউ বলছে উনি আসলে পাপেট, দম দেওয়া পুতুল, দেশ নাকি চলছে ঐ আসল মালিকদের নির্দেশে, যাঁর সম্বন্ধে প্রশ্ন তুললে সংসদে ঢোকাই যাবে না। আসুন তাহলে মহুয়া মৈত্র বেশ কিছুদিন ধরে কোন প্রশ্নগুলোকে সংসদে তুলতে চাইছেন সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া যাক। নরসিমহা রাও এর সময় থেকে শুরু হয়েছিল, মনমোহন সিং এর সময়ে তা গতি পেয়েছিল, দেশের ভারি শিল্প, দেশের জাহাজ বন্দর, বিমান বন্দর, রেল, কয়লা ব্যাঙ্ক নাকি সরকারের হাতে থাকা উচিত নয়, প্রত্যেকটি পাবলিক সেক্টর আন্ডার টেকিং নাকি কেবল অলাভজনক এক সংস্থা, কাজেই সবকিছুর প্রাইভেটাইজেশন হোক। কংগ্রেস শুরু করেছিল প্রথম, আমাদের দেশের কল কারখানা, খনি বন্দর বেচে দেবার কাজ, ব্যাঙ্ক বেচে দেবার কাজ, রেল থেকে সড়ক সর্বত্র বেসরকারীকরণ। বেচে দাও বেচে দাও। সেই সময়ে আর এস এস বা বিজেপি অবশ্য এর ঘোর বিরোধী, যতটা বিরোধিতা করছিল বামেরা, প্রায় ততটাই বিরোধিতা করছিল বিজেপি, স্বদেশী জাগরণ সমিতি বলে এক মঞ্চ তৈরি হল বিজেপি নেতা গোবিন্দাচার্যের নেতৃত্বে। অটল বিহারী বাজপেয়ি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন কংগ্রেস দেশ কো বেচনা চাহতি হ্যায়। কিন্তু নয়া জামানা এল মোদিজীর হাত ধরে, তিনি ঐ জল জঙ্গল, জমি, ব্যাঙ্ক, রেল, বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর সবকিছু কেবল বেচে দেওয়ার কাজকে প্রাথমিক দায়িত্ব হিসেবেই নিলেন, ফারাকটা হল এবার সেই বেসরকারিকরণ হতে থাকলো কয়েকটা মানুষ, কিছু হাউসের জন্য। জনা পাঁচেক ছয়েক হাউস কে সব দিয়ে দাও, হ্যাঁ বেচে নয়, দিয়ে দাও, তারা যে লাভ পাবে তার বিনিময়ে তারা বিজেপিকে দেশের ক্ষমতায় রাখার জন্য যা যা করার, তাই করবে, এটাই শর্ত। ধরুন রেল, ব্যাঙ্ক, বন্দর বেচে দিচ্ছে তো সব্বাই জানেন, দেশের জল জঙ্গল জমিও বেচে দিচ্ছে, ৯৫% বৃষ্টি অরণ্যে ঢাকা সম্পেন ও নিকোবরি জনজাতির বাসস্থান ও বিপুল সংকটাপন্ন বন্যপ্রাণী যেমন নিকোবর মেগাপড, কাঁকড়া খেকো বাঁদর ও লেদার ব্যাক কচ্ছপের আবাস গ্রেটার নিকোবর ও গ্রেটার নিকোবর বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের বিরাট অংশ ও গ্যালাথিয়া বের পুরোটাই ধ্বংস করে ৮.৫ লক্ষ্য গাছ কেটে, আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর, এয়ারপোর্ট ও প্রোমোদ শহর তৈরী করছে মোদী সরকার। সবার অলক্ষ্যেই দেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রক আসল কাজটা সেরে ফেলেছে আর সেটা হলো নাম মাত্র কিছু রেগুলেটারি ও কমপেনসেটরি শর্ত চাপিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ৭৫ হাজার কোটি টাকার এই সাধের প্রকল্পটি যার পোশাকি নাম International Container Transhipment Terminal (ICTT) তাতে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। পুরো প্রকল্প শেষ হতে হয়তো ২০৫০ পেরিয়ে যাবে তবে বন্দর ২০২৭-২৮ এই শুরু হয়ে যাবে। বিশিষ্ট প্রাকৃতিক বিপর্যয় বিশেষজ্ঞ জানকি আন্ধেরিয়া, প্রশাসনকে চিঠি লিখে অবহিত করেছেন যে যেখানে কনটেনার টার্মিনাল বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে গত ১০ বছরে ৪৪৪ টা ভূমিকম্প হয়ে গেছে এবং এই সব এলাকা সবচেয়ে প্রবলতম ভূমিকম্প প্রবন ও ২০০৪ সালের সুনামি এতো প্রবাল প্রাচীর ও ম্যানগ্রোভ থাকা স্বত্তেও এখানে বিপুল ধ্বংসলীলা চালিয়ে ছিলো। কাজেই এমনই কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় গোটা প্রকল্পটাকে ধ্বংস করতে পারে এর ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি শুধু হবে না সমুদ্রে ও পরিবেশে ছড়িয়ে পড়বে বিপুল খনিজ তেল ও রাসায়নিক ও ক্ষতিকারক পদার্থ যা প্রাণ ও পরিবেশের পক্ষে হবে ভয়াবহ বিপর্যয়কর।
১) আসাম, কোল মাইনিং প্রজেক্ট, দেহিং পাটকল এলিফ্যান্ট রিজার্ভ, ২০০৪ এর ১৩ জুন আসামের ডিব্রুগড় আর তিনসুকিয়া জেলার ১১১ স্কোয়ার কিলোমিটার জমি জুড়ে রেনফরেস্ট কে রিজার্ভ ফরেস্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারতবর্ষের সমতলে এটাই সবথেকে বড় রেইন ফরেস্ট। ৪৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪৭ টা প্রজাতির সরীসৃপ আর ৩০০ টার বেশি প্রজাতির প্রজাপতি আছে এই অরণ্যে। হাতি তো আছেই, তার সঙ্গে আছে ২৯৩ প্রজাতির পাখী। এক ডজনের বেশী উপজাতি মানুষের বসবাস এখানে, তাই ফাকে, খাম্যায়াং, খামতি ইত্যাদি এক ডজন উপজাতি মানুষ, যারা এই প্রকৃতির মধ্যেই বড় হয়, বেড়ে ওঠে। সেখানে কোল মাইনিং প্রজেক্ট। সারা বিশ্ব ফসিল জ্বালানী র ব্যবহার কমাচ্ছে, কিন্তু আদানি আম্বানির চাই। অতএব বেচে দে বেচে দে। একটা সময়ে তখন কংগ্রেসে থাকা হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, জেল যাবার ভয়ে তিনিই আজ এই প্রকল্পের পাশেই আছেন।
২) তেলেঙ্গানা, ইউরেনিয়াম সার্ভে, আমরাবাদ টাইগার রিজার্ভ নালামাল্লার জঙ্গল, যেখানে ওয়াই এস আর রেড্ডির হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল, সেইখানে আছে এই আমরাবাদ টাইগার রিজার্ভ। এর তলাতে আছে প্রচুর ইউরেনিয়াম, শকুনের চোখ চক চক করছে, বহু দিন ধরেই এদিকে নজর। হায়দ্রাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ২৮০০ কিলোমিটার জুড়ে এই অরণ্যভূমীর পাশ দিয়ে বইছে কৃষ্ণা নদী। এই প্রকল্পের ফলে এখানকার জল দূষিত হবে, জঙ্গল কাটা পড়বে আদিবাসীদের ঘর ভাঙা হবে। তাতে কী? বেচে দে বেচে দে। মন্দির ওঁহি বনায়েঙ্গের দল জল জঙ্গল জমিন কেড়ে নেবার পরকল্পনায় মত্ত।
৩) মহারাষ্ট্র একো সেন্সেটিভ ওয়েস্ট্রার্ন ঘাট থেকে ১৫% বাদ দেওয়ার আবেদন ২০১০ এ কেরালা, তামিলনাডু, কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ছটা রাজ্যের ৬০ হাজার স্কোয়ার কিলোমিটার জায়গাকে ইকো সেন্সিটিভ, মানে পরিবেশগত ভাবে সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। যেখানে মাইনিং বা বোরিং ইত্যাদি করা যাবে না। এখন তার মধ্যে ১৫% বাদ দেবার কথা বলা হচ্ছে। প্রকাশ জাবড়েকর, পরিবেশ মন্ত্রী রাজ্যের সঙ্গে বসে এই এলাকা চুড়ান্ত করবেন। কেবল কেন্দ্রেই যে বেচে দেবার কাজ চলছে তা তো নয়, রাজ্যেও শকুনেরা আছে, সুযোগের সন্ধানে। উন্নয়ন হবে। পরিবেশ, জঙ্গল, আদিবাসী মানুষ উচ্ছন্নে যাক।
৪) কর্ণাটক, সারাভাতি স্যাংচুয়ারিতে বোর হোলস করার অনুমতি। দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নিজে হাজির থেকে এই প্রকল্পের ছাড়পত্র দিয়েছেন, ভাবুন একবার কত তাড়া ছিল। ১২ টা বোর হোল করার কাজ ও শুরু হয়ে গেছে,  প্যান্ডেমিকের মধ্যেই, ২০০০ মেগাওয়াট সারাভাতি পাম্পড স্টোরেজ হাইড্রোইলেকত্রিক প্রজেক্ট হচ্ছে। কোথায় ? সারাভাতি স্যাংচুয়ারি তে। একটা নীল গাই, একটা ব্লাক বাক মারা নিয়ে মিডিয়ার যে নাচন কোদন তা যে আসলে টি আর পি র খেলা সেটা বুঝুন, ওটা হচ্ছে আসলে তামাশা, মাদারি খেল, নেশন ওয়ান্টস টু নো বলে ঘন্টাখানেক চ্যাঁচাও, তারপর বেচে দে বেচে দে গান বাজাও। এর ফলে একটা গোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চল শেষ হয়ে যাবে। বিপন্ন প্রজাতির লায়ন টেলড ম্যাকাও এখানেই পাওয়া যায়, আর কিছুদিন পর যা ছবি হয়ে যাবে।
৫) গোয়া, মল্লেম ন্যাশনাল পার্ক আর ভগবান মহাবীর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির মধ্যিখান দিয়ে রাস্তা আর বৈদ্যুতিক সংযোগ ভগবান মহাবীর ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি আর গোয়ার মল্লেম ন্যাশলাল পার্ক এর ঠিক মধ্যিখান দিয়ে তিনটে প্রকল্পের কথা চলছে, কাজও শুরু হয়ে গেছে। ১) কর্ণাটকের ক্যাস্টারলক থেকে গোয়ার ভাস্কো পর্যন্ত যে রেল লাইন আছে তা ডাবল লাইন করা। ২)কর্ণাটকের বেলগাভি থেকে গোয়ার পানাজী পর্যন্ত চার লেনের সড়ক। ৩) কর্ণাটকের ধারোয়াড় থেকে গোয়ার মাপুসা পর্যন্ত হাইটেনশন বৈদ্যুতিক সংযোগ। কেবল প্রজেক্টের অংশ ধরলে ৩৭০০০ গাছ, ১৭০ হেক্টর বনভূমি উবে যাবে, যাচ্ছে। এবার আরও অর্ধেকের বেশি জমি আর গাছ যাবে এই কনস্ট্রাকসনের জন্য। কিন্তু মিয়া বিবি রাজী তো কেয়া করেগা কাজি? যারা রেল সড়ক বেচে দিচ্ছে তারা এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলবে কেন? ৬) গুজরাট, গীর ন্যাশনাল পার্ক একো সেন্সেটিভ জোনের মধ্যেই লাইমস্টোন মাইনিং। শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে। তো নরেন্দ্র মোদীর দেশেও সে নিয়ম বজায় আছে। দেশের একমাত্র সিংহ মানে লায়ন রিজার্ভ ফরেস্টের আওতাতেই লাইমস্টোন মাইনিং শুরু করা হয়ে গেছে, সরকারের অনুমতি নিয়েই। কিন্তু পরিবেশের ছাড়পত্র নেওয়া হয় নি। এখন আদালত সেই ছাড়পত্র দেখতে চেয়েছে। কদিন পরেই রায় দিতেই পারে যে এই মাইনিং জায়জ। হ্যাঁ এই প্যাটার্নটার কথাই সংসদে রাহুল, মহুয়া, বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা লাগাতার বলে আসছেন। রাহুল কে প্রায় পেড়ে ফেলা হয়েছিল, তিনি এযাত্রায় বেঁচেছেন, কতদিন বেঁচে থাকতে পারবেন, জানা নেই। মহুয়া মৈত্র নিজে ব্যাঙ্কার ছিলেন, অর্থনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য ভালই বোঝেন, বিষয়গুলো তুলে ধরছিলেন সংসদে। ধামরা সমুদ্র বন্দরের আগেই দেশের দুই পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং ইন্ডিয়ান অয়েল আর গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড GAIL মিলে তামিলনাড়ুর এন্নোরে ৫ টা টার্মিনাল করেছে, খরচ হয়েছে ৫০০০ কোটি টাকা।
এবার উড়িষ্যাতে ধামরা পোর্টে টার্মিনাল হবে, কাজ দেশের পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং পেলনা, পেল আদানি। কত টাকায়? ৪৬৫০০ কোটি টাকায়, মানে ১০ গুণ বেশি খরচে। এখানেই শেষ নয়, আই ও সি এল আর গেল এর সঙ্গে এক চুক্তিও আদানি করলেন, গেল আর আই ও সি এল আগামী ১৬ বছর ধরে এক নির্দিষ্ট দামে ঐ গ্যাস কেনার জন্য এই টার্মিনাল ব্যবহার করবে। মানে দশগুণ টাকায় তৈরি হবে টার্মিনাল, এবং তৈরি হবার আগেই আদানিদের কাছে নিশ্চিত ব্যবসা এসে গ্যালো। ভাবছেন এখানেই শেষ? না তাও নয়, এবার আদানি চলে গেলেন ফ্রান্স এ, সেখানকার টোটাল কোম্পানিকে বললেন এই হচ্ছে কাজ এবং এই হচ্ছে আসিওরর্ড খদ্দের। অতএব টোটাল টাকা বিনিয়োগ করলো। মানে আদানির পকেট থেকে এক পয়সাও বের হল না, তাঁর কাছে চলে গেল দেশের কোটি কোটি টাকা। না কোনও ইডি নেই, সি বি আই নেই, তদন্ত নেই। যিনি এই কোট আনকোট আনএথিকাল প্রশ্ন করেছিলেন তাঁকে সংসদ থেকে বের করে দেবার সুপারিশ করেছে  এথিক্স কমিটি।
RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Donald Trump | Benjamin Netanyahu | ফের নেতানিয়াহুর পাশে ট্রাম্প, কী করবে ইরান?
00:00
Video thumbnail
Donald Trump | কে এই মামদানি? যাকে ভ/য় পান ট্রাম্প, যু/দ্ধ আবহে এল বড় খবর
00:00
Video thumbnail
BJP | বিগ ব্রেকিং, বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার জন‍্য নোটিফিকেশন জারি
00:00
Video thumbnail
Israel | ইজরায়েলজুড়ে ধ্বং/সস্তূপ, নেতানিয়াহুর সামনে ক্ষো/ভে-কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ইজরায়েলের নাগরিকরা
00:00
Video thumbnail
Iran | Israel | America | এই ৭ কারণে ইরানকে কিছু করতে পারল না আমেরিকা-ইজরায়েল
00:00
Video thumbnail
Benjamin Netanyahu | এবার নিজের দেশেই জেলে যাবেন নেতানিয়াহু? কেন? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
03:57
Video thumbnail
Maharashtra | মহারাষ্ট্রে হিন্দি চাপানোর জের জোর কোন্দল NDA-তে, পাশে নেই দুই উপ মুখ্যমন্ত্রী
03:37
Video thumbnail
Iran-Israel | আমরা খামেনিকে সরিয়ে দিতাম, বললেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, কেন পারলেন না?
04:01
Video thumbnail
Donald Trump | ট্রাম্পের নয়া দুঃস্বপ্ন, এই মুসলিম যুবক মোদি-নেতানিয়াহু সম্পর্কে কী মত পোষণ?
04:20
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | পুরীর খাজা, দিঘার গজা, বাঙালি খুশি?
10:21

Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39