Wednesday, June 11, 2025
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | বাজেটে বাংলার হাতে পেনসিল
Fourth Pillar

Fourth Pillar | বাজেটে বাংলার হাতে পেনসিল

দেশের উন্নয়ন নয়, এ বাজেটের মূল লক্ষ্য গদিটা টিকিয়ে রাখা

Follow Us :

আমেরিকায় মেরিনস-দের ট্রেনিং হয়, মেরিনস হল এলিট সেনাবাহিনী, ইউএস মেরিন মানে এক দুরন্ত অপারেশন। সেই মেরিনস-দের কঠোর ট্রেনিংয়ের শেষে তাদের এক বীজমন্ত্র দেওয়া হয়, মানে সব শিক্ষার সেরা মন্ত্র, “বাপু হে সেভ ইওর ওন অ্যাস”, নিজের পিছনটা আগে সামলিও। তো এবারে বাজেট তৈরি করার বহু আগেই নির্মলা সীতারামনের কাছে সেই মন্ত্র পৌঁছে গিয়েছিল, তিনি বাজেটে ঠিক সেটাই আগে করেছেন। কথামতো উজাড় করে দিয়েছেন ভাণ্ডার বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য। ঠিক যেন আমাদের কাঁথির মেজখোকা, যো হামারে সাথ হ্যায়, হাম উনকে সাথ হ্যায়। এক কথায় অত্যন্ত বাজে বাজেট, আবার নির্বাচিত হওয়ার পরেও এতটুকু কনফিডেন্স নেই, মনরেগার উল্লেখ নেই, গ্রামীণ অর্থনীতির উল্লেখ নেই, কৃষকদের আয়ের বৃদ্ধি? উল্লেখ নেই। কিন্তু এই বাজেটের শরিক কারা, দেশের শিশু-কিশোর যুবক, প্রৌঢ়, বৃদ্ধরা। তাঁদের জন্য কী আছে? সারা দেশের এক বিরাট সংখ্যক শিশুর পুষ্টি নেই, তারা জন্মেই দেখে মৃত্যুর কারবার, রক্তঘটিত রোগ থ্যালাসেমিয়া, হিমোফেলিয়া এক বিরাট সমস্যা, পুষ্টি খাদ্য স্বাস্থ্য। বাজেটের কোন পাতায় সেসব আছে? আমি খুঁজে পাইনি। প্রাথমিক শিক্ষা পরিকাঠামো নিয়ে নতুন পরিকল্পনা বা বাজেট বরাদ্দ? না, নেই। যাঁরা পড়াশুনো করছেন, তাঁদের মেধা পরীক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি ছেলেখেলা হচ্ছে, সমস্ত মেডিক্যাল শিক্ষার পরীক্ষাকে এক জায়গাতে করে দুর্নীতির এক আখড়া বানিয়ে ফেলা হয়েছে, চাকরির পরীক্ষা তো নয় যেন এক হাত দে দুসরা হাত লে, তা নিয়ে একটাও কথাবার্তা, কোনও নতুন ব্যবস্থা, তার জন্য বাজেটারি অ্যালোকেশন? চাকরি? এক কোটি অ্যাপ্রেনটিস, চাকরি নয়, শিক্ষানবিশি, শেষে তারা চাকরি পাবে? সেরকম কথা নেই, হ্যাঁ, মাসে ওই এক কোটির জন্য ৫০০০ টাকার বরাদ্দ আছে।

আবার নির্মলা সীতারামনের ভাষণ শুনুন, ওঁর কথা অনুযায়ী ৫০০টা বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে বাছা হবে, সেখানে ১ কোটি অ্যাপ্রেন্টিস, শিক্ষানবিশকে পাঠানো হবে, যাঁরা ৫০০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড পাবেন। এবার একটা অঙ্ক কষুন, হিসেব বলছে একটা প্রতিষ্ঠানে তাহলে ২০ হাজার, শিক্ষানবিশি ইনটার্নশিপ করবে। এবারে বলুন ভারতবর্ষের কোন কোন কর্পোরেট হাউসে ২০ হাজার শিক্ষানবিশি নেওয়ার জায়গা আছে? তাহলে এটা এক বছরের হিসেব নয়? তাহলে সেটা বলা হল না কেন? এবং এটা করার জন্য সেই কর্পোরেট হাউসগুলোকে আবার ছাড় দেওয়া হবে। তাদের সম্পদ বাড়বে, আয় বাড়বে। এক লোকদেখানো ঘোষণা, কেউ প্রশ্ন করবে না। এভাবে মিটবে রেকর্ড ৯.২ শতাংশ বেড়ে থাকা বেকারত্বের সমস্যা? না, বাজেটে এর চেয়ে কিছু বেশি বলা নেই, ঠিক এই মুহূর্তে প্রতি বছরে ২.৯ কোটি চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, মানে এলিজিবল ওয়ার্কফোর্স বাড়ছে, সেই সময়ে এক কোটি অ্যাপ্রেন্টিসকে ৫০০০ টাকা, এটা নাকি বড় বড় কর্পোরেট হাউস দেবে। এবারে আসুন দেখা যাক যাঁরা মাইনে পায়, তাদের কী হাল? এবারে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ৭৫ হাজার, গত ২০১৯-এ ৪০ হাজার টাকা থেকে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ১০ হাজার বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছিল, আজ ৫ বছর পরে সেটাকে ২০ হাজার বাড়ানো হল। লোম কামিয়ে মরার শরীর হালকা করে নেওয়ার মতো এক ঘটনা, তবু তো ঘটল। কিন্তু সেই বৃদ্ধ রিটায়ার্ডদের জন্য? কিছুই নেই। যদি আপনার ক্যানসার হয়, তাহলে তিনটে মহামূল্যবান ওষুধে ছাড় এসেছে, ছাড়ের পরে দাম শুনলে ক্যানসার নয়, হার্ট অ্যাটাকেই সাধারণ মানুষ মারা যাবেন। দেশের মধ্যে ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেন ছাড় সেই করোনার সময়ে তুলে দেওয়া হয়েছিল, এখনও ফেরানো হয়নি। কাজেই বাজেটের শরিক যারা, আদত শরিক যাঁরা তাদের জন্য বুড়ো আঙুল। আমরা বাজেট নিয়ে বাজেটের দিনটাতে মাতামাতি খানিক করি, নির্মলা সীতারামন রেকর্ড সাতবার শাড়ি পরেই বাজেট পেশ করলেন, আজ কী শাড়ি তার পাড় কী, কাপড় কী ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে দেশের ৭-৮ শতাংশ মাইনে পাওয়া ট্যাক্স দেওয়া মানুষজনের ওই ট্যাক্স ডিডাকশন বা ট্যাক্স স্ল্যাবের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কি কিছু করার আছে, আর কারও কোনও ইন্টারেস্ট আছে? নেই। কোভিডের সময় খেয়াল করেছিলেন বাজেট এসেছে চলে গেছে কেউ টেরও পায়নি। আর বাজেটের দুটো দিক থাকে, তার অর্থনৈতিক দিক আর রাজনৈতিক দিক। অর্থনৈতিক দিকের গুরুত্ব এখন বাসে রেলগাড়িতে হকারদের চুটকুলা, জোকস-এর চেয়েও কম, কিন্তু রাজনৈতিক গুরুত্ব অসীম। ওই যে শুরুতেই বলেছি, সেভ ইওর ওন অ্যাস, পিছন সামলাও, সেই পিছন সামলাতে সামলাতেই এই বাজেট শেষ হয়ে গেছে, দুই শরিক, বিশাল ফর্দ দিয়েছিল, নববিবাহিত বধুর দেওয়া ফর্দ, না কিনে বাড়ি ফেরে এমন পুরুষ আছে কি? এখানেও তাই, এই নে এই নে আরও নে আরও নে আচ্ছা আরেকটু নে। বিহার আর অন্ধ্রের দিকে একের পর এক প্রজেক্ট গেছে, খালি দেখিস ভাই অসময়ে পিছনের চেয়ারটা খিচে নিস না, এই হল আসল কথা। বাংলার বন্যা? নদী ভাঙন? তো নির্মলা সীতারামনের কী? বিজেপিরই বা কী? চেয়েছিল ৩৫ দিয়েছেন ১২। কাজেই ওনারা দুই কি এক দেবেন, তার বেশি নয়। হিরো হিরণ গিয়েছিল ঘাটালে, সমস্যা, স-এ র সমস্যা নয়, বন্যা সমস্যার সমাধান করে দেবেন, তিনি আপাতত গর্তে, কেন বরাদ্দ নেই? সে প্রশ্ন ওনাদের এমপিদের করার ধক নেই। এই বাজেট এক বছরের বাজেট, কোনওক্রমে একবছর টানতে টানতে দল ভেঙে, দলে যোগ করিয়ে ২৭৫-২৮০ হওয়ার জন্য সময় নিচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar: ২১ এর ৭ কাহন

এই বাজেট বলে নয়, গত ১০টা বাজেট, মানে মোদি জমানার বাজেটের একটা কমন ফ্যাক্টর হল একটা বড় সিঁড়ি, তার উপরে থরে থরে আপেল ন্যাসপাতি, সুসিদ্ধ মাংস, মদ রাখা আছে, এবং লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, বেশ জোর দিয়েই বলা হচ্ছে উপরে গেলেই সব পাবেন। এবং অন্য দিকটা হল ওই উপর আর নীচের ফারাকটা বেড়েই চলেছে, প্রতিদিন বাড়ছে। এমনি এমনি নয়, সচেতনভাবেই বাড়ানো হচ্ছে। কীরকম বৈষম্য? তা অনেকবার বলেছি তবুও আর একবার বলি, দেশের ১০০ টাকার ৫৩ টাকা এক শতাংশ মানুষের কাছে আছে। হ্যাঁ, বৈষম্যটা এই লেভেলের। মানে এই যে ফাইভ ট্রিলিয়ন ইকোনমির বিশুদ্ধ বাওয়াল, তার অর্ধেকের কিছু বেশি কিন্তু ওই এক শতাংশ মানুষের কাছে আছে, কিন্তু তার জন্য আপনাকে গর্বিত হতে বলা হচ্ছে। দেশ আর ক’দিনে ফাইভ ট্রিলিয়ন ইকোনমিতে পৌঁছে যাবে, আপনি ছাগলের তিন নম্বর সন্তান তাই আপনাকে আনন্দে নাচতে হবে। এটা আগে ছিল না? ছিল, কিন্তু এই মারাত্মক আকার ধারণ করেনি এবং এই বৈষম্য, ডিসপ্যারিটি একটা আপওয়ার্ড ট্রেন্ড, মানে বাড়ছে, আরও বাড়বে। প্রতিটা বাজেটে তার উপাদান আছে। ধরুন ডাইরেক্ট ট্যাক্সেশন, আপনি ব্যক্তি হিসেবে ইনকাম ট্যাক্স দেবেন, যদি আপনার আয় ১৫ লক্ষের বেশি হয় তাহলে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। আর বড় কর্পোরেট হাউস ৪০০-৫০০ কোটি টাকা আয়, তার ট্যাক্স? ২৫ শতাংশ, সারচার্জ ইত্যাদি জুড়লেও ২৯ শতাংশ। মানে আপনি জীবনের লাস্ট লেগ-এ এসে কে স ক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী বা রা স ক রাজ্য সরকারি কর্মচারী, ১৮ লক্ষ টাকা বছরে পান, আপনি আদানি বা আম্বানির থেকে বেশি ট্যাক্স দিচ্ছেন।

আর ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সের কথা তো ছেড়েই দিন, সে তো সমান, ১ লিটার দুধ কিনলে আপনিও ৫ শতাংশ জিএসটি দেবেন, অনন্ত আম্বানির কুত্তার জন্য সেই এক লিটার দুধ কেনা হলে তারও একই ট্যাক্স। মানে এই বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা সম্ভব মোদি সরকার করে চলেছে। আমরা মাঝেমধ্যেই বলি না সোশ্যাল সেক্টর, সামাজিক ক্ষেত্র, ধরুন মনরেগা, ১০০ দিনের কাজ, ২৫ দিন টার্গেট ছিল এখন তাও কমছে, কেন? কারণ বাজেট অ্যালোকেশন কমছে, টাকা রাখাই হচ্ছে না, বরাদ্দ নেই তাই কমছে। ১৬–১৭তে বাজেটের ২.৪৪ শতাংশ থেকে কমে এখন তা ১.৭৮ শতাংশ। ধরুন বয়স্কদের জন্য পেনশন ১৬-১৭তে ছিল ০.৩০ শতাংশ এখন সেটা ০.১০ শতাংশ, সমগ্র শিক্ষা, তিনটে প্রকল্প মিলে ১৬-১৭তে ছিল ১.২৯ শতাংশ এখন ০.৭৭ শতাংশ। পিএম পোষণ, যে প্রকল্পে মিড ডে মিলের টাকা আসে, বাকিটা রাজ্য সরকার জোগায়, তাতে ১৬–১৭তে বরাদ্দ ছিল ০.৫ শতাংশ, আর এখন সেটা কমে ০.২৬ শতাংশ, একেই বলে শিশুবিকাশ। প্রান্তিক এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের নাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, বরাদ্দ ছিল ০.১০ শতাংশ এখন কমে অর্ধেক ০.০৫ শতাংশ। বিধবা ভাতা, ৩০০ টাকা একই আছে, কিন্তু কম সংখ্যক মহিলা পাচ্ছেন, কেন? কারণ ওই বরাদ্দ কমেছে, ০.১৩ শতাংশ থেকে কমে ০.০৪ শতাংশ। কিন্তু এই সোশ্যাল সেক্টরের একটা জায়গাতে বরাদ্দ কিছুটা হলেও বেড়েছে, কোথায়? আয়ুষ্মান ভারত, ১৬-১৭তে ছিল ০.০৯ শতাংশ, এখন তা বেড়ে ০.১৫ শতাংশ হয়েছে।

কেন? কারণ খুব সোজা, এর টাকা চলে যাচ্ছে বিমা কোম্পানির হাতে, কয়েকটা ধরাবাঁধা বিমা কোম্পানি এই প্রকল্প থেকে ফুলে ফেঁপে উঠছে, বেশ কিছু উদাহরণ এসেছে যেখানে চিকিৎসাই হয়নি, কিন্তু বিমা কোম্পানি টাকা পেয়ে গেছে। এখানে টাকা ঝাড়ার সুযোগ আছে, বরাদ্দ বেড়েছে। গত আট বছরে স্বাস্থ্য বাজেট ১.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ১.৯ শতাংশে এসে ঠেকেছে। আমরা ক’দিনের মধ্যে ফাইভ ট্রিলিয়ন ইকোনমিতে চলে যাব, আমাদের অনেক পিছনে চলেই গেছে জাপান, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, অনেক পিছিয়ে আছে বেলজিয়াম, কানাডা, সুইডেন, নেদারল্যান্ড। এই সব দেশের বাজেটের ১০ শতাংশের বেশি খরচ হয় স্বাস্থ্য খাতে। আমাদের ১.৯ শতাংশ। ফ্রান্সে ১১.৯ শতাংশ, জাপানে ১১.৫ শতাংশ, ওই যে অস্ট্রিয়া, ক’দিন আগে ঘুরে এলেন মোদিজি, সেখানে ১১.৪ শতাংশ খরচ হয় স্বাস্থ্য খাতে। আমাদের? কেবল নতুন সংসদ ভবন, দিল্লির হাল ফেরানোর খরচের থেকে কম খরচ স্বাস্থ্য খাতে, সেখানেও আছে ওই বিমা কোম্পানির হাতযশ। শিক্ষা? তার অবস্থা কী? আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মহিলাদের ২০ শতাংশ, পুরুষদের ১৮ শতাংশ নিরক্ষর, নিরক্ষর মানে সই পর্যন্ত করতে জানেন না, আর স্বাক্ষর কিন্তু কেবল সই করতে পারেন, লিখতে বা পড়তে পারেন না তার একটা আনুমানিক সংখ্যা ৪০-৪৫ শতাংশ। সে দেশের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কত? জানতেই পারবেন না কারণ গত তিন বছরের কোনও সঠিক হিসেব সরকার দেয়নি।

গত আর্থিক বছরে খরচের হিসেব থেকে জানা যাচ্ছে টোটাল বাজেট অ্যালোকেশনের ২.৭ শতাংশ খরচ হয়েছে এই খাতে। মাথায় এন্টায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স পড়া লোক বসে আছে, যে যত বেশি পড়বে, তত বেশি জানবে আর তত ক্যাচাল পাড়বে, তার থেকে সেই রাস্তাই বন্ধ করে দাও, আছে তো হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি, বেকারত্ব বাড়ছে কেন? মুসলমানদের জন্য, জিনিসের দাম, ওই মুসলমানদের জন্য, শিক্ষা শেষ। এবং এই বেসিক, এই মূল জায়গাকে বাদ রেখেই ভাষণ দিয়ে দেশের বেকারত্ব তো দূর করা যাবে না। কেবল ভাষণ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য পোষণ না হলে, শিক্ষা না থাকলে স্কিল তৈরি না হলে কোথা থেকে চাকরিটা হবে? আর সেখানে বরাদ্দই নেই, যা আছে তাতে জ্যোতিষ আর বৈদিক অঙ্ক পড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে, কোনও কোনও জায়গাতে পড়ানোও হচ্ছে। আসলে গত দশ বছরের বাজেটের মূল দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ক্রমশ দেশের কিছু মানুষের আরও উন্নতি আরও আরও বিকাশের রাস্তা খুলে দিচ্ছে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে সর্বশেষ্ঠ ব্যবস্থা না হয়েছে, শিক্ষাতেও, কিন্তু তা রাখা আছে কিছু মানুষের জন্য, দেশের ওই ১ শতাংশের জন্য, আর বাকি ১০ শতাংশকে সেই বৃত্তে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে দেশের ৪ শতাংশ সম্পদ আছে, এবং তারপরে দেশের প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলেন, আসলে দেশের উন্নয়ন নয়, এ বাজেটের মূল লক্ষ্য গদিটা টিকিয়ে রাখা।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
BJP | দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি ২৬-র ভোটে কীরকম ফল করবে? জয়ন্ত ঘোষালের বিশ্লেষণ শুনুন
09:59:43
Video thumbnail
Volodymyr Zelenskyy | দেশ ছেড়ে পালাতে চলেছেন জেলেনস্কি? কেন? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
11:23:27
Video thumbnail
বাংলা বলছে (Bangla Bolche) | দ্বিধাবিভক্ত বাংলায় ত্রিধাবিভক্ত বিজেপি
11:31:03
Video thumbnail
Sheikh Hasina | বাংলাদেশের ভোটে লড়বেন হাসিনা? দেশে কবে ফিরবেন? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
03:52:00
Video thumbnail
Donald Trump | ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রূপ নিল গ/ন্ডগো/লে, দেখুন কী অবস্থা
04:30
Video thumbnail
Donald Trump | ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রূপ নিল গ/ন্ডগো/লে, দেখুন কী অবস্থা
00:00
Video thumbnail
Politics | মণিপুরে আরও একবার বিজেপি গড়বে সরকার?
02:51
Video thumbnail
Politics | বিজেপি না নীতীশকুমার কে ছড়ি ঘোরাবে এবার?
04:33
Video thumbnail
Politics | খাল কেটে কুমির আনেন নীতীশকুমার কী যে করেন!
04:10
Video thumbnail
Politics | বরাদ্দ ছেঁটেছে বাংলার মোদি সরকার বারবার
04:29