সেই ২০২০ সালের মার্চ এর পর থেকেই টলিপাড়ায় অন্ধকার। করোনার সময় থেকেই কলাকুশলীদের হাতে কোনো কাজ নেই, অভিনেতা অভিনেত্রীরা রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন মহামারীর সময় বেকার হয়ে পড়ার জন্য। করোনা কাটিয়ে আবার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে টলিউড। আবারও ছোট ছোট প্রযোজকরা লগ্নি করতে উৎসাহ দেখছেন। পরিচালকরা কোমর বেঁধে নেমে পড়তে চাইছেন নতুন প্রজেক্ট নিয়ে। এবছরে বেশ কয়েকটা ছবির দিকে তাকিয়ে রয়েছে টলিউড। তাদের একটাই আশা এই ছবিগুলো দর্শক হলে গিয়ে দেখুক, ছবি আবার সুপারহিট হোক এবং মানুষ এই নিয়ে আলোচনা করুক। ইন্ডাস্ট্রির সুদিন ফিরুক যাতে বড় বড় প্রযোজনা সংস্থাগুলো আবার লগ্নি করতে ঝাঁপিয়ে পরে.
আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখার্জীর অতি উত্তম। ইন্ডাস্ট্রির আশা সৃজিতের আগের ছবিগুলোর মতোই অতি উত্তম পুজোর বাজারে ঝড় তুলবে। সৃজিত অন্তত উত্তমের নস্টালজিয়া এবং ছবির কারিগরী কৌশলে কোনো ফাঁক রাখছেন না. পুজোর বাজার যদি সৃজিতের হয় তবে গরমের ছুটি নিঃসন্দেহে অরিন্দম শীলের তীরন্দাজ শবরের। শাশ্বত,অনির্বানের জুটি নিয়ে অরিন্দম নিশ্চিত তার শবর আবার আগের মতোই দর্শক টানবে। আর এর পাশাপাশি রেখেছেন নিজেরই আর একটা ছবি মায়াকুমারী। আবির, ঋতুপর্ণার এই ছবি আসছে শবরের ঠিক পরপরেই।
এতেও যদি অরিন্দমের জনপ্রিয়তা না বাড়ে তবে তার জন্য আছে তৃতীয় অস্ত্র। খেলা যখন। মিমি, অনিন্দ্য অভিনীত এই ছবি মুক্তি পাচ্ছে খেলা যখন ঠিক পনেরো দিন পর. না, এতেই শেষ নয়, এর এক মাস পরেই অরিন্দমের ব্যোমকেশ বাজারে আসছে। অর্থাৎ, মে থেকে অগাস্ট অরিন্দমের রীতিমতো অগ্নিপরীক্ষা। এর মধ্যে যদি কোনটা মুখ থুবড়ে পরে তবে ইন্ডাস্ট্রি অনেক ওলোট পালটের মুখোমুখি হবে। তবে চিন্তা একটাই একগুচ্ছ বোরো বাংলা ছবি কতটা জায়গা করে নিতে পারবে মাল্টিপ্লেক্স এ. কারণ ইতিমধ্যেই বলিউডের বিগ ব্যানারের ছবির লম্বা লাইন রয়েছে মুক্তির। আর একসাথে এই সব হিন্দি ছবি মুক্তি পেলে বাংলা ছবি যে প্রাইম টাইম এর স্লট পাবে না সে বিষয় কোনো সন্দেহ নেই. ফলে এখন থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।