কলকাতা: বেহালার গোষ্ঠী সংঘর্ষে অন্যতম অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবান ও তার সঙ্গীদের মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রাখা হল মামলা। যদিও পরে অভিযুক্তদের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিসি হেফজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
কী হয়েছিল?
গত ১২ এপ্রিল বেহালায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। ১২১ নং ওয়ার্ডে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে গুলি–বোমাবাজি। এলাকার কয়েকজন মহিলাও আক্রান্ত হন। বেশ কিছু দোকান, সাধারণ মানুষের গাড়ির কাচ, বাড়ির জানালার কাচ ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর থেকেই ফেরার ছিল অভিযুক্তরা।
যদিও ভিন রাজ্যে পালিয়ে,বারবার সিম বদলেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেহালার গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনার পাঁচদিন পর পুলিসের জালে ধরা পড়েছে বেহালা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবান ও তার সঙ্গীরা। তাদের গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা। হাওড়া গ্রামীণ এলাকার একটি বাড়ি থেকে সকলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে তুলতেই বিপত্তি বাধে।
অভিযুক্তদের আইনজীবীর দাবি, কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা তাদের গ্রেফতার করলেও তাদের বেহালা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই অভিযুক্তদের বেধড়ক মারধর করা হয়। মামলা বন্ধ করে বেহালা থানার ওসিকে ডেকে পাঠানোর আবেদন করেন তিনি। সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, অভিযুক্তদের কোনও মারধর করা হয়নি। দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডায় দীর্ঘক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মামলা।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: কলকাতায় হিন্দুরা ভোট দেননি, বালিগঞ্জে বিজেপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে সাফাই দিলীপের
অভিযুক্তের আইনজীবী আরও দাবি করেন, অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবানের হার্টের সমস্যা রয়েছে। সে কথা কেন ওই রিপোর্টে উল্লেখ নেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট অর্ডারে লেখেন, কোর্টে মামলা চলাকালীন সাত জন অভিযুক্তই সুস্থ ছিল। আদালতে তোলার আগে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট অনুসারে তাদের গায়ে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। রিপোর্টে অভিযুক্তদের স্বাক্ষরও রয়েছে।
দীর্ঘক্ষণ মামলা স্থগিত থাকার পর আদালত সব শুনে ওই সাত অভিযুক্তকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে আদালত অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের পক্ষের আইনজীবীকে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেয়।