কলকাতা: টলি অভিনেত্রী পল্লবী দের রহস্যমৃত্যুতে অভিযুক্ত প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে ২৬ মে পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। রবিবার থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় সাগ্নিককে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, সাগ্নিক ও তাঁর আরও এক বান্ধবী ঐন্দ্রিলা পরিকল্পনা করে খুন করেছে পল্লবীকে। বুধবার অভিযুক্তকে আলিপুর জেলা আদালতে তোলা হলে ৮ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
সাগ্নিককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকেই পল্লবী দে-র মৃত্যু ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। পল্লবীর রহস্যমৃত্যুতে নাম জড়ায় সাগ্নিকের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ ঐন্দ্রিলার। যদিও তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় পুলিস গ্রেফতার করতে পারছে না। তবে পল্লবীর ঘনিষ্ঠদের থেকে জানতে পারা গিয়েছে, প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল সাগ্নিকের। এমনকি সাগ্নিকের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর সেই রেজিস্ট্রিতে নাকি পল্লবীর সইও ছিল। সাগ্নিকের বন্ধুদের কথায়, বছর দু’য়েক আগে সুকন্যা নামের একটি মেয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয়েছিল সাগ্নিকের। সরকারিভাবে আগের বিয়ে ভাঙেনি তখনও। যে কারণে পল্লবীকে বিয়ে করতে পারছিলেন না সাগ্নিক।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: রক্ষাকবচ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পল্লবীর পরিবার আগেই অভিযোগ করেছিলেন, তার থেকে বারবার আর্থিক সাহায্য নিয়েছেন সাগ্নিক। দামি ফ্ল্যাট, গাড়ি, ফোন সবকিছুতেই পল্লবী সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তদন্ত করে পুলিস জানতে পারে, নিউটাউনে একটি ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কিনেছিল পল্লবী। সেই ফ্ল্যাট সাগ্নিক ও তাঁর বাবার নামে থাকলেও নাকি সেই ফ্ল্যাটের জন্য পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল।অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, একাধিকবার পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। শেষমেশ পল্লবীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে মঙ্গলবার বিকেলে পুলিস সাগ্নিককে গ্রেফতার করেছে। সংবিধানের ৩০২ ধারায় খুন, ৪২০ ধারায় প্রতারণা, ৩২৩ ধারায় মারধর, ৪০৩ ধারায় সম্পত্তি আত্মসাৎ, ৪০৬ ধারায় বিশ্বাসঘাতকতা-র মতো একাধিক মামলা রয়েছে সাগ্নিকের উপর।