বসিরহাট: আমবাগান থেকে উদ্ধার হল মাধ্যমিক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে সোমা মণ্ডল। তার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্থানীয় এক কিশোরের। মৃতা কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ওই কিশোরই সোমাকে ভিডিয়ো কল করে গালিগালাজ দিয়েছে এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই শতদল মহাজনকে পুলিস আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শুক্রবার বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ থানার দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন সাহেব আলি পুঠিয়াচক গ্রামের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়।
১৬ বছরের সোমার সঙ্গে ১৮ বছরের তরুণ শতদলের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের লোকেরা ও পাড়া প্রতিবেশীরাও সেকথা জানতেন। সোমার পরিবারের অভিযোগ, এদিন ভোররাতে হঠাৎই ফোন করে ছেলেটি। তারপর থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সোমাকে। খোঁজাখুঁজি করতে করতে সকালে বাড়ির পাশে আমবাগানে মৃতদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা তারপর পরিবারকে খবর দেয়। মৃত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, শতদল মহাজনের বাড়ি দেউলি গ্রামে। তাদের মধ্যে প্রেম ছিল। সোমার মা মিনা মণ্ডল বলেন, শতদল আমার মেয়েকে ফোন করে ভিডিও কলে আত্মহত্যা করার কথা বলে। ভালবাসার প্রতিদান হিসেবে, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা স্বপন মণ্ডল।
আরও পড়ুন- Rail Blockade: গেদে-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন অবরোধ, আটকে একাধিক লোকাল-এক্সপ্রেস
ওই ছাত্রের তথা প্রেমিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। ওই ছাত্রকে পুলিস আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর পিছনে মূল কারণ কি সেটাও নজরে রাখছে তদন্তকারীরা। ছাত্রীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শতদলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তার পরিবার।