নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ইডি তলবের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভে শামিল হল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ১০ জনপথ থেকে ইডি দফতর পর্যন্ত রাস্তায় সোনিয়ার সঙ্গে যান কংগ্রেসের নবীন ও প্রবীণ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে, লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী, পি চিদম্বরম, কে সি বেণুগোপাল সহ একঝাঁক নেতা। ছিলেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
এদিন লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ ইডি এবং সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। কংগ্রেস সদস্যরা একই ইস্যুতে লোকসভায় বিক্ষোভ দেখান। প্রতিবাদ হয় রাজ্যসভাতেও। হায়দরাবাদে কংগ্রেস প্রতিবাদ মিছিল করে। পাটনায় কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে পড়ে ইডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অবস্থান চালান। বেঙ্গালুরুতে একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। চণ্ডীগড়ে কংগ্রসে কর্মীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিস জলকামান চালায়। দিল্লির লক্ষ্মীনগরে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস বিক্ষোভ করে। দিল্লিতে অধীর চৌধুরী, কে সি বেণুগোপাল এবং অন্য নেতারা কিংসওয়ে ক্যাম্পে নিউ পুলিস লাইনে বসে পড়েন। তাঁদের গান গাইতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ হয়েছে অসমেও। রাজীব ভবন থেকে বেরিয়েই কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভের আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকেই দিল্লিতে বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেয়। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে সকালেই জানান, দিল্লি পুলিস শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য বিজেপির নির্দেশে কাজ করেছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সোমবার ইডি নেত্রীকে ফের ডাকলে সোদিনও বিক্ষোভ হবে।