কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। ৯ অগস্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কেনিয়ায়। কিন্তু ভোটের আগে প্রার্থীদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে দেশের যুবসমাজ। তাদের অনেকেই এ বার ভোট দিতে নারাজ। সে দেশের ২ কোটি ২০ লক্ষ ভোটারের মধ্যে একটা বড় অংশই তরুণ প্রজন্মের। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, লাগামছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তারা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যুবসমাজকে আকৃষ্ট করতে অবশ্য চেষ্টার কসুর করেননি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা। ঋণে জর্জরিত কেনিয়াকে নতুন দিশা দেখানোর প্রতিশ্রুতি তো রয়েইছে, অন্যতম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লুচিরি ওয়াজাককোয়া আবার ভোট টানতে অভিনব ঘোষণা করেছেন। লুচিরি জানিয়েছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট হলে গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করা হবে। সাপ পালন করে প্রজননও করা যাবে। সাপের বিষ এবং হায়নার অন্ডকোষ বিক্রি করা হবে চীনকে। ওষুধ তৈরির কাজে এগুলি কিনে থাকে চীন।
তাঁর কথায়, সাপের বিষ এবং হায়নার অন্ডকোষ থেকে যা রোজগার হবে তা দিয়ে দেশের ঋণ মেটানো অনেক সহজ হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। দলকে নয়, প্রার্থীকে দেখে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন লুচিরি ওয়াজাককোয়া। কেনিয়ার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের চিন্তায় রেখেছে যুবসমাজ। ২০১৭-র নির্বাচনের তুলনায় এ বার ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ভোটারদের রেজিস্ট্রেশনের হার ৫ শতাংশ কমে গিয়েছে।