কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: তিনদিন হয়ে গেল, এখনও বন্ধ খামে ঝুলে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ভাগ্য। খনি লিজ কাণ্ডে হেমন্তের বিধায়ক পদ থাকবে কী থাকবে না, নির্বাচন কমিশন তার সুপারিশ বন্ধ খামে রাজ্যপাল রমেশ বইসের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সেই খাম এখন পর্যন্ত খোলেননি রাজ্যপাল। ফলে তাতে কী সুপারিশ করেছে কমিশন, তা জানা যায়নি।
বিজেপি ভাবছে, কমিশন সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজের পাশাপাশি তাঁকে ছয় বছরের জন্য ভোটে লড়তে না দেওয়ার কথা বলতে পারে। তা না করে কমিশন যদি কেবল সদস্যপদ খারিজের কথা বলে, সেক্ষেত্রে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে। ইস্তফা দিতে হবে বিধায়ক পদ থেকেও। আবার তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে হবে। এই সময়কালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে পারেন।
এই অবস্থায় দোলাচলে রয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। এমনিতেই সোরেনের পিছনে ইডি, সিবিআই লেগে রয়েছে। জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির অভিযোগ, বিজেপি ঝাড়খণ্ডের এই জোট সরকার ভাঙার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সম্প্রতি হাওড়ার পাঁচলায় যে তিন কংগ্রেস বিধায়ককে টাকা সমেত ধরল রাজ্য পুলিশ, তার পিছনেও বিজেপির খেলা আছে বলে অনেকের অভিযোগ। ঝাড়খণ্ডের এক কংগ্রেস বিধায়ক তো পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছেন, তাঁকেও টাকার লোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। ওই তিন বিধায়ককে বিজেপি টাকা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: Howrah Murder: দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় খুন হাওড়ার ব্যবসায়ী, গ্রেফতার ছেলে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও দাবি করেছেন, ঝাড়খণ্ডের জোট সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। তিনি বলেন, আমার পুলিশ ধরে ফেলেছে ওই বিধায়কদের।
সোরেনের চিন্তা, তিনি ইস্তফা দিলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। ইস্তফা দিয়ে আগামী ছয় মাস তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাতে পারেন। আবার নতুন কাউকে সেই পদে বসাতে পারেন। তবে হেমন্ত চান, তাঁর পরিবারেরই কেউ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসুন। সবটাই নির্ভর করছে এখন রাজ্যপালের বন্ধ খাম খোলার উপর।