পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলির নামাঙ্কিত স্কুলে বুধবার হানা দিল ইডি। পিংলা থানার খিরিন্দা এলাকায় বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গড়ে উঠেছে। অভিযোগ, চাকরি বিক্রির ঘুষের টাকা সেখানেও খাটানো হয়েছে। এদিন ইডির চারজনের একটি দল যায় ওই স্কুলে। সঙ্গে ছিলেন আয়কর দফতরের অফিসাররাও। এ দিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইডি অফিসাররা জেলে গিয়ে তাঁদের জেরা করতে পারবেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই স্কুলের জমি ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময় কেনা হয়েছিল। তারপর খুব দ্রুত তৈরি হয় ওই স্কুলটি। পার্থর মেয়ের জামাইয়ের মামারা ওই জমি এবং স্কুলের দেখাশোনা করেন। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পিংলার খিরিন্দায় পার্থর মেয়ের মামা শ্বশুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, এদিন ইডি এবং আয়কর দফতরের অফিসাররা স্থানীয় বাসিন্দা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে এদিন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। আদালত ফের তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পরবর্তী হাজিরা ২৯ সেপ্টেম্বর। পার্থ, অর্পিতা দুজনেই কেঁদে ভাসান। পার্থ বিচারকে্র কাছে কাতর আবেদন জানান, যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি বাঁচতে চান।
ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, পিংলার ওই স্কুলের জমি কেনা ও বাড়ি তৈরির জন্য ১৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বটানিক অ্যাগ্রোটেক প্রাইভেট লিমিটেড নামে একি সংস্থার মাধ্যমে স্কুলের টাকা যায়। ওই সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে পার্থর নাম রয়ছে।
ইডি আদালতে আরও জানায়, কসবায় রাসবিহারী কানেক্টরে পার্থ এবং অর্পিতার নামে একটি তিনতলা বাড়ির হদিশ মিলেছে। ইডির দাবি, শিক্ষা দুর্নীতিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। তার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। বহু ভুয়ো সংস্থার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ডামি ডিরেক্টর বসানো হত। ইডির অভিযোগ, তাদের ঠিকমতো সহযোগিতা করছেন না পার্থ। উনি বলছেন, উনি প্রভাবশালী নন। যেদিন পার্থকে গ্রেফতার করা হয়, সেদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন। তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তখনও। প্রভাবশালী না হলে কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করতে পারেন, প্রশ্ন ইডির।