প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে আদালতে দাবি করল ইডি। ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আদালত থেকে মানিককে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় কয়েকজন বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা স্লোগান দেন, মানিকদা, টাকা মেরেছে খানিকটা। দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মানিককে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।
এদিন সওয়াল পর্বে ইডির আইনজীবীরা জানান, মানিকের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ২.৭ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাঁর একাধিক আত্মীয়ের নামে আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। মানিকের স্ত্রীর সঙ্গে জনৈক মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাতে তিন কোটি টাকার খোঁজ মিলেছে। এত টাকা কোথা থেকে এল, তা জানার জন্য মানিককে আরও জেরা করা দরকার।
আরও পড়ুন: UP: রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত কিশোরীর আর্তি, পথচারীরা ব্যস্ত ভিডিও তুলতে
ইডির আইনজীবীরা আরও জানান, মানিকের বাড়ি থেকে যে সিডি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দুটি ফোল্ডারে ৪ হাজার জনের তালিকা রয়েথে। তার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার জন চাকরি পেয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি বিএড এবং ডিইএলডি কলেজ থেকে তাদের প্রশংসাপত্র দেওয়া হত টাকার বিমিনয়ে। সেই সব কলেজে রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়া হত। ইডির আরও অভিযোগ, মানিকের সঙ্গে বারাসতের তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।
মানিকের আইনজীবী জানান, সল্টলেক থেকে মানিককে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রীতিমতো অত্যাচারের শামিল। তাঁদের দাবি, কলকাতার যে কোনও নার্সিংহোম কিংবা সরকারি হাসপাতালে মানিকের চেকআপ করানো হোক। আদালত অবশ্য সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।