সিওল: বৃহস্পতিবারও ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। তার মধ্যে একটি ছিল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM)। কিন্তু সেটি সম্ভবত ব্যর্থ হয়েছে। এরপরই উত্তর ও মধ্য জাপানের (Japan) নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে সেদেশের সরকার। দেশের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাপ সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) এবং জাপানের সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। সেটা আইসিবিএম বলেই ধারণা সিওলের। প্রসঙ্গত, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এবং অন্য মহাদেশে গিয়েও আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: EC: গুজরাত বিধানসভার ভোট ১ ও ৫ ডিসেম্বর, গণনা ৮ ডিসেম্বর
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সূত্র মনে করছে, ওই আইসিবিএম ওড়ার পথেই ব্যর্থ হয়েছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের এই খবর অস্বীকার করেছে দক্ষিণের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র সম্ভাব্য ব্যর্থতার কথা মানতে রাজি হননি। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেন, জাপান সমুদ্রের উপর ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথের উপর নজরদারি হারিয়ে ফেলি আমরা। ফলে তারপরেই আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যাওয়ার ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটি কোরিয়া দ্বীপপুঞ্জ এবং জাপানের মধ্যবর্তী সমুদ্রে ভেঙে পড়ে। প্রসঙ্গত, এ বছর উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি আইসিবিএম পরীক্ষা ব্যর্থ হয়। প্রসঙ্গত, বুধবারই উত্তর কোরিয়া মোট ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একদিনে এতগুলি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়েন কখনও উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে একটি গিয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে। সিওলের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এহেন আচরণ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন উপ বিদেশমন্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণকে নিন্দনীয়, অনৈতিক কাজ বলে বর্ণনা করেছেন।
জানা গিয়েছে, প্রথম যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় সেটি মাটি থেকে ২ হাজার কিমি উপর দিয়ে গিয়েছে। প্রায় ৭৫০ কিমি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল সেটি। অন্য দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের আইনকে পাশ কাটাতে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র অনেক উপর দিয়ে ছোড়া হয়।