Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকElon Musk: তদন্তের ঘেরাটোপে মাস্কের সংস্থা ‘নিউরালিঙ্ক’, পশু আইন ভাঙার গুরুতর অভিযোগ

Elon Musk: তদন্তের ঘেরাটোপে মাস্কের সংস্থা ‘নিউরালিঙ্ক’, পশু আইন ভাঙার গুরুতর অভিযোগ

Follow Us :

নিউ ইয়র্ক: ধনকুবের এলন মাস্কের (Elon Musk) চিকিৎসা উপকরণ সংস্থা নিউরালিঙ্ক (Medical Device Company ‘Neuralink’) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডেরাল তদন্তের (Federal Investigation) কবলে। অভিযোগ রয়েছে, পশু কল্যাণ আইন উলঙ্ঘন করেছে মাস্কের সংস্থা। এই অভিযোগ এনেছে নিউরালিঙ্কের একাধিক কর্মী। সংবাদ সংস্থা রয়টার এবং তদন্তকারী সংস্থা ও কোম্পানি অপারেশনের সূত্রের দেওয়া খবর অনুযায়ী, এ বিষয়ে যে সব নথি পর্যালোচনা করা হয়েছে, তাতে অভিযোগ রয়েছে নিউরালিঙ্ক পশুদের উপর তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে (Animal Testing), যার জেরে পশুদের অপ্রয়োজনীয় কষ্ট ও ভোগান্তি হচ্ছে এবং তাদের মৃত্যু হচ্ছে। আর তার মূল কারণ হল মাস্ক নিজেই। তিনি নিউরালিঙ্কের কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে পশুদের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে বলেছেন, যাতে করে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই মানুষের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা অর্থাৎ হিউম্যান ট্রায়াল (Human Trial) শুরু করা যায়। এই তাড়াহুড়োর জেরেই ভুলভ্রান্তি হচ্ছে এবং টেস্টের পর পশু নিধনের সংখ্যাটাও সেই কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিউরালিঙ্ক কর্পোরেশন (Neuralink Corp) একটি ব্রেন ইমপ্লান্ট (Brain Implant) উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চালাচ্ছে, যাতে করে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের (Paralyzed Person) আবার হাঁটতে-চলতে সাহায্য করার পাশাপাশি নানারকম স্নায়বিক ব্যাধি (Neurological Ailments) নিরাময় করা যায়। এই কাজে নিউরালিঙ্কের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলির মধ্যে অন্যতম সিঙ্ক্রন (Synchron) সাফল্য পেয়েছে এবং ২০২১ সালেই তারা এফডিএ (FDA) থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য। প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিদের সাফল্যের কারণেই এলন মাস্ক তাড়াহুড়ো করছেন নিউরালিঙ্কের গবেষণায় গতি আনার জন্য। যদিও কর্মচারীদের দাবি, মাস্কের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অনেক বড়, আর প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলি তুলনায় ছোট লক্ষ্য নিয়েও এগোচ্ছে।

আরও পড়ুন: Afghanistan: পাক দূতাবাসে হামলায় ধৃত এক বিদেশি, আইএস জঙ্গি বলে দাবি তালিবান মুখপাত্রর 

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নিউরালিঙ্কে দেড় হাজারের মতো পশু মারা গিয়েছে। এর মধ্যে ২৮০টি ভেঁড়া, শূকর ও বাঁদর রয়েছে। আর ইঁদুরের সংখ্যা অগণিত। কর্মচারীদের অভিযোগ, মাস্ক চলতি বছরের গোড়ার দিকে সবাইকে মেইল করেছিলেন। তাতে তিনি এক সুইস গবেষকের একটি আর্টিকেল উল্লেখ করেছিলেন। ওই সুইস গবেষক পক্ষাগ্রস্ত ব্যক্তিরা যাতে ফের হাঁটাচলা করতে পারেন, তার জন্য ইলেক্ট্রিক ইমপ্লান্ট (Electric Implant) তৈরি করেছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি করা সেই মেইলের দশ মিনিট পর মাস্ক নিউরালিঙ্কের কর্মীদের উদ্দেশে ফের মেইল করে কড়া বার্তা দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, নিউরালিঙ্কে যথেষ্টভাবে দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে না। তাতে তিনি বেজায় অসন্তুষ্ট। তিনি সংস্থায় কাজ করা গবেষকদের হুঁশিয়ারিও দেন, এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন তাঁদের মাথায় বোমা বাঁধা আছে। তাই কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। নাহলে তিনি কোম্পানি বন্ধ করে দেবেন।

মাস্কের হুঁশিয়ারির জেরে কাজে গতি এলেও, গবেষকদের অভিযোগ করছেন, যে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তা বুঝে দেখতে এবং সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে সময় লাগে। একটি গবেষণা শেষ হওয়ার পর পরবর্তী গবেষণা শুরুর আগে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে ভুলভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে। সেই কারণেই পশু নিধনের সংখ্যা বেড়েছে।

তবে এটাও বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে নিউরালিঙ্কে পশু নিধনের সংখ্যা বাড়লেও, এর মানে এই নয় যে মাস্কের সংস্থা নিয়ম ভাঙছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পশুকে মেরে ফেলতে হয় পোস্ট-মর্টেম করার জন্য, যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়। নিউরালিঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগটা অনেকদিন ধরে এলেও, সম্প্রতি তদন্তের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসিকিউটর জেনারেলের অনুরোধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (U.S. Department of Agriculture)-এর ইনস্পেক্টর জেনারেল এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেই কারণে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খবর পৌঁছেছে। আমেরিকার পশু কল্যাণ আইন (Animal Welfare Act) অনুযায়ী নিউরালিঙ্কের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো গবেষকরা কিভাবে পশুদের উপর আচার-আচরণ করছেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন, তার উপর নজর রাখা।

RELATED ARTICLES

Most Popular