এলগার পরিষদ (Elgar Parishad) মামলায় গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর (Stan Swamy) কমপিউটার হ্যাক করে নানা সন্দেহজনক তথ্য ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমেরিকান একটি ফরেন্সিক সংস্থার অনুসন্ধান অনুযায়ী, মাওবাদী এবং অতি বাম ঘেঁষা বেশ কিছু সংগঠনের সঙ্গে ৮৩ বছরের এই বৃদ্ধের মেলে পাঠানো এমন কিছু নথিপত্রের সন্ধান পাওয়া যার মধ্যে অন্তত ৪৪টি জাল নথি। আর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি বা এনআইএ ওই সব জাল নথির উপর ভিত্তি করে তদন্তে নামে। ২০২০ সালে গ্রেফতার করে ফাদার স্ট্যান স্বামীকে।
ঝাড়খন্ডে বসবাসকারী জেসুইট পাদ্রী ফাদার স্ট্যান স্বামী মূলত আদিবাসীদের মধ্যে নানা সমাজসেবামূলক কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁকে হঠাৎ ভীমা কোরেগাঁও (Bhima Koregaon)মামলায় মাওবাদী যোগসাজসের দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মার্কিন মুলুকে বোস্টনের (Boston) ওই ফরেন্সিক সংস্থা আর্সেনাল কনসালটিং জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে নানা দফায় স্ট্যান স্বামীর কমপিউটারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর ২০১৮ সালে ভীমা কোরেগাঁও সংঘর্ষের পর ওই ঘটনার পাশাপাশি মোদিকে হত্যার চক্রান্তের অভিযোগও যুক্র করে তাঁকে হেফাজতে নেয় এনআইএ।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ২৮ মে থেকেই মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত স্বামী। গত সপ্তাহ থেকেই সমাজকর্মীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করেছিল। তাঁর আইনজীবী জানান, ক্রমশই তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হয়। আর গত জুলাই মাসে হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার পরই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন স্বামী। এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন স্ট্যান-সহ একাধিক সমাজকর্মী। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) অভিযোগ করেছিল, ভীমা কোরেগাঁওয়ে জাতপাতের ভিত্তিতে হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন স্ট্যান এবং অন্য অভিযুক্তরা। পাশাপাশি মাওবাদীদের (Maoist) হয়ে কাজ করা সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে আয়োজিত একটি কনক্লেভে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার কারণে পরের দিন ভীমা কোরেগাওঁয়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও দাবি করা হয়।