বজবজ: রক্তাক্ত অবস্থায় এক মাঝবয়সী মহিলাকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মহেশতলায়৷ ওই মহিলা একজন দুধ বিক্রেতা৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে তার পর বজবজ ট্রাঙ্ক রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা৷ খবর পেয়ে ছুটে আসেন মহেশতলার তৃণমূল নেতা দেবাশীষ দাস৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ অবশেষে পয়তাল্লিশ মিনিট পর অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী৷ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ যদিও ধর্ষণের কোনও ধারা দেওয়া হয়নি৷
আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ৭ পঞ্চায়েত সদস্য
এদিকে মহিলাকে উদ্ধারের পর পাঠানো হয়েছে পিজি হাসপাতালে৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর ফটিক ঘাটার মোল্লার গেটে ওই মহিলার দাদার দোকান রয়েছে৷ সেখানে তিনি দুধ বিক্রি করতে আসেন৷ এদিন সকালে এক কয়লার দোকানের সামনে থেকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে খুঁজে পান স্থানীয়রা৷ এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, উদ্ধারের সময় ওই মহিলার গায়ে কোনও পোশাক ছিল না৷ মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ সঙ্গে কোনও টাকার ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন ছিল না৷ এ দেখে স্থানীয়দের ধারনা হয়, ওই মহিলাকে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টা করা হয়েছে৷ পরে টাকার ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী৷
এর পরই মহেশতলা থানায় বিশ্বনাথ আদক নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলাকে উদ্ধার করে পিজি হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ৷ প্রকৃত ঘটনা জানতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা৷
আরও পড়ুন: মাদক খাইয়ে রোগী পরিজনের সর্বস্ব লুট
পুলিশ এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে৷ যদিও সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ছিনতাই বা ধর্ষণের কোনও ধারা যুক্ত করা হয়নি৷ মহিলার বয়ান অনুযায়ী ওই ধারাগুলি যুক্ত করা হতে পারে বলে খবর৷