প্যারিস: মৃত্যু তাঁর কাছে স্বাধীনতা (Freedom)। এমনই কথা বলতেন বারবার। করোনা (Corona) আক্রান্তও হয়েছিলেন। সেখান থেকেও সেরে উঠেছিলেন। তাঁর ১১৮ বছরে জার্নিতে মৃত্যু থাবা বসাতে পারেনি। শেষে ঘুমের মধ্যে তাঁর সেই ‘স্বাধীন জগতে’ পাড়ি দিলেন সন্যাসিনী (Nun)। প্রয়াত হলেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ লুসেইল রান্ডন (Lucile Randon) ওরফে সিস্টার আন্দ্রে (Sister Andre)। মঙ্গলবার, ফ্রান্সের স্থানীয় সময় রাত ২ টো নাগাদ তিনি মারা যান। তুলন (Toulon) শহরের বাসিন্দা সিস্টার আন্দ্রে বিশ্বের জীবিতদের মধ্যে প্রবীণতম ছিলেন।
গত বছর জাপানের কেন তানাকার ১১৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয়। তারপরে তিনি সেই স্থান দখল করেন। ১৯০৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মেছিলেন সিস্টার আন্দ্রে। ১৯ বছর বয়সে ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করার পর খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তুলন শহরের মেয়র হুবার্ট ফ্যালকো (Hubert Falco) তাঁর মৃত্যুর খবর টুইটে (Twitter) লিখেছেন। তিনি শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: Asansol Stampede Case: কম্বল-কাণ্ডে অসহযোগিতার অভিযোগ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে
তাঁর জীবদ্দশায় ফ্রান্সের ১৮টি রাষ্ট্রপতি (President) দেখেছেন। গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ হয়ে গিনেস ওযর্ল্ড বুকে নাম তুলেছিলেন। য়াঁতে তিনি অবশ্য খুশি হননি। তিনি বলেছিলেন, এটা দুঃখের সম্মান (Honor of Sadness)। কারণ তাঁর মতে, মৃত্যুতেই মোক্ষলাভ। সেখানেই তিনি ভালো থাকবেন এমনটাই বলতেন। তার সঙ্গে এটিও জানিয়েছিলেন, ভগবানের ইচ্ছা হয়নি এখন তাঁর মৃত্যু হোক। তিনি য়খন চাইবেন তখনই স্বর্গে (Heaven) যাবেন। তাঁর প্রচার কাজ দেখভাল করা ডেভিড ট্যাভেল্লা (David Tavella) এদিন তাঁর মৃত্যু খবর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। সারা জীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। জীবনের প্রথম দিকে শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Second World Ware) সময় তিনি শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। পরে ১৯ বছর বয়সে সন্যাসে দীক্ষিত হন। তারপর থেকে ধর্মপ্রাণা ছিলেন আজীবন।