পশ্চিম বর্ধমান: একের পর এক নদীতে তলিয়ে মৃত্যুর পরও টনক নড়েনি। হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। অবাধে চলছে বেআইনিভাবে মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন। দিনরাত রমরমিয়ে চলছে অবৈধ বালির (Sand) চোরা কারবার। এবার এই বেআইনি বালি কারবারে মদত নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাসের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়েছে সেই মন্তব্য। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
সমীর বিশ্বাস বলেন, কাঁকসা ব্লকের বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) পিন্টু বাগদি (pintu Bagdi) বালি (Sand) ব্যবসায় মদত দিচ্ছে। সহযোগিতা করছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কিষান সেলের সভাপতি জয়ব্রত বৈদ্য ওরফে হ্যাপি বৈদ্য। এদিকে কয়েকদিন আগেই কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু বাগদি তার এলাকায় অজয় নদের বৈধ বালি ঘাট গুলি থেকে বেআইনিভাবে বালি পাচারের অভিযোগ তোলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কাঁকসা থানার পুলিশের সাথে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা কাঁকসার বনকাটি এলাকায় অজয় নদের পাড়ে বিভিন্ন বালিরঘাট পরিদর্শন করেন। যদিও আধিকারিকদের অভিযানের পরেও অভিযোগের কোনওরকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি আধিকারিকদের। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতির লেখা মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা।
আরও পড়ুন:Amartya Sen: নিরাপত্তা বাড়ানো হল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচীতে
পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস এই বিষয়ে জানিয়েছেন, তার কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার বিষয়টি তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে এড়িয়ে গিয়েছেন। এই বিষয়ে তার কিছু জানা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দল অনেক বড় হয়েছে। দলের মধ্যে এখনও অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা অন্য দলের চর হিসেবে কাজ করছে। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য বা কোন কিছু পোস্ট করেন তারা দলের কেউ নয় বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা বলেন, এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের কোনও ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। বর্তমানে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। কারণ একটাই যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন তিনি হয়তো ভাগ পাচ্ছেন না। এতদিন পর মনে পড়েছে তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখছেন। গোটা দলের নাম তোলামূল। তোলা না তুললে পদে থাকা যায় না। দলের নেতা অপর নেতাকে দলের কর্মী হিসেবে অস্বীকার করছে। এটা হাস্যকর বিষয়। গোটাটাই সার্কাস চলছে।