আসানসোল: শুক্রবার রাতে আসানসোলে (Asansol) হোটেল মালিক খুনের (Hotel Owner) ঘটনায় এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। শনিবার দুপু্র পর্যন্ত পুলিশ কিনারা করা তো দুরের কথা, কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি। যদিও এই ঘটনায় আসানসোলের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকাতেও রাতভর নাকা তল্লাশি চলেছে বলে পুলিশের দাবি।
শনিবার ঘটনাস্থলে যায় সিআইডির এক প্রতিনিধিদল। ওই দলে ছয় জন সদস্য রয়েছে। স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিআইডি আধিকারিকরা হোটেলের কর্মচারী, মালিকের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। নিহত হোটেল মালিক অরবিন্দ ভগতের কতেকজন বন্ধুর সঙ্গেও সিআইডি আধিকারিকরা কথা বলেন। এদিনও এলাকা ছিল যথেষ্ট থমথমে। বেশ কিছু দোকানপাটও বন্ধ থাকতে দেখা যায়। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকায় সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: Goalpokho Incident: গোয়ালপোখরে শুটআউট, নিহত ১, গুরুতর জখম ৪
ঘটনাস্থলের কাছেই স্থানীয় থানা। অদূরেই মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি। দিনভর জমজমাট থাকা ওই এলাকায় ভরসন্ধ্যায় কী করে হোটেলে ঢুকে দুষ্কৃতীরা অরবিন্দকে খুন করল, পুলিশ তা বুঝে উঠতে পারছে না। পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে।
এদিক ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। গপাল গুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এরকম ভিড় ঠাসা এলাকায় যদি হোটেলে ঢুকে দুষ্কৃতীরা মালিককে খুন করতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা পাবে কী করে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকায় এক হোটেলে ঢুকে দুই দুষ্কৃতী তাঁর মালিককে (Hotel Owner) গুলি করে খুন করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দুই দুষ্কৃতীরই মুখ ছিল ঢাকা। প্রায় পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় তারা।ঘটনার পরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার রাতেই গোয়ালপোখর থানার মদিনাচকে গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। গুলি লাগে এক মহিলা সহ আরও তিনজনেরয় শরীরে। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।