কলকাতা: রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা হয়েছে, আর এদিকে ৪ লক্ষের কম পড়ুয়া এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam 2023) বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ? অর্থের অপচয় হচ্ছে। সোমবার আদালতে (Calcutta High Court) এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। শিক্ষা দফতরকে তাঁর পরামর্শ, যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছাকাছি অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিন। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন। গোটা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। আইনে বদল আনুন।
এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন, সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভালো কথা, কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের দিকে খেয়াল রাখছেন তো? কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, সে আপনাদের কাছ থেকে কী শিখেছে, সদুত্তর পাব তো? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো?
আরও পড়ুন:Howrah: সোমবার সাতসকালে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ যুবকের
বিচারপতির মন্তব্য, একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০ জন পড়ুয়া। অথচ দেখা যাচ্ছে সেইসব স্কুলে ১০- ১৫ জন শিক্ষক আছেন। তাঁদের অন্যত্র বদলি করুন। নিজের অধিকারের এইচআরএ (HRA), সিএল (CL), পিএল (PL), সিসিএল (CCL) চাইছেন। কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কী হবে? সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে। এই সব স্কুল রেখে লাভ কী? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। এটা না করতে পারলে পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাটমুক্ত হবে না। কারণ নিয়োগের সময় এই সব স্কুল শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। অর্থের অপচয় হবে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।