খড়গপুর: অজয় বাকলি (Ajay Bakli) নামে শহরে্র এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে (Businessman) তোলা চেয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দাপুটে তৃণমূল নেতা (TMC Leader) দেবাশিস চৌধুরী ওরফে মুনমুনের বিরুদ্ধে। তিনি খড়গপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নমিতা চৌধুরীর স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় খড়গপুরে।
ব্যবসায়ী অজয় বাকলির অভিযোগ, ৩ ফেব্রুয়ারি পুরসভাতে তাঁকে মারধর করা হয়। পুলিশকে না জানানোর কথা বলে দু’দিন পর মুখে মাস্ক পরা দুই যুবক ফের তাঁর কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেয়।তারপরই অজয়ের পেট্রোল পাম্পে এসে একটি চিঠি ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। অজয় বলেন সেই চিঠিতে লেখা ছিল, থানা-পুলিশ করলে বা দেবাশিস চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানালে, ফল ভালো হবে না। এই ঘটনায় আমার পরিবার আতঙ্কে আছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন আতঙ্কিত ওই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন : Sagardighi Election: সাগরদিঘিতে ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি অধীরের
অজয় জানান, খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ জানানোর পর ১২ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অধরা অভিযুক্তরা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে দেবাশিস চৌধুরী কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে খড়গপুর পুরসভার ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তৈমুর আলি খান জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। যদি পুরসভার মধ্যে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে নিশ্চই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। খড়গপুর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সংসদীয় নির্বাচনী কেন্দ্র। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূল দলটাই চলে সমাজবিরোধী, গুন্ডা, মাফিয়া এবং তোলাবাজদের দিয়ে। ওই ব্যবসায়ী চরম আতঙ্কে রয়েছেন।পুলিশ অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে আমরা আন্দোলনে নামব।
এমনিতেই খড়গপুর পুরসভা নিয়ে তৃণমূল অস্বস্তিতে রয়েছে। কিছুদিন আগেই নেতৃত্ব চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারকে সরিয়ে দিয়েছে। তা নিয়ে এখনও টানাপড়েন চলছে। তার মধ্যেই দলের দাপুটে নেতা এবং দলীয় কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছে তোলা চাওয়া এবং তাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠায় জেলা নেতৃত্বের অস্বস্তি আরও বেড়েছে।