কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রায়ই দাবি করেন, এ রাজ্যকে তাঁর সরকার প্রায় টিবি-মুক্ত (TB-Free) করে ফেলেছে। অথচ কলকাতা টিভির (Kolkata Tv) হাতে তথ্য এসেছে, শুধু শহরের মেয়রের (Firhad Hakim) ওয়ার্ডেই ৪৩০ (430) জন টিবি রোগীর সন্ধান (Found) পাওয়া গিয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম ঢোক গিলে সে কথা স্বীকারও করে নেন।
মেয়রের ওয়ার্ডে চেতলাহাট রোড এলাকাতেই ওই ৪৩০ জন টিবি রোগীর খোঁজ মিলেছে। শুক্রবার মেয়র বলেন, ওই এলাকাটি অতন্ত্য ঘিঞ্জি। একই কল থেকে অনেকে জল খায়। অনেকে অপুষ্টিতেও ভোগে। সেই কারণেই যক্ষাকে নির্মূল করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিষয়টি কলকাতা পুরসভা দেখছে এই রোগ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর কাজ করছে। ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংও কাজ করছে। মেয়রের দাবি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতা পুরসভা যৌথ ভাবে বিষয়টি মনিটর করছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি স্বচ্ছ**সেবী সংস্থা চেতলার ওই অঞ্চলের যক্ষায় আক্রান্ত রোগীদের হাতে খাবার দাবার ও ওষুধপত্র তুলে দেয়। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী বার বার দাবি করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। টিবি রোগকে প্রায় নির্মূল করে দেওয়া হ্প্য়েছে কিন্তু প্রদীপের নীচেই যে অন্ধকার, এবার সেটা মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করবেন তো? বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামেরা এক সুরেই বলছে, খোদ মেয়রের ওয়ার্ডে একটি পাড়াতেই যদি ৪৩০ জন টিবি রোগীর সন্ধান মেলে, তাহলে সারা কলকাতার কী হাল তা সহজেই অনুমেয়। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদের আমলেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা বিপুল উন্নতি হয়েছে। তৃণমূল যে দাবি করে থাকুক না কেন, শুধু মেয়রের ওয়ার্ডে এত টিবি রোগীর উপস্তিথি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।