কলকাতা: সাগরদিঘির উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) তৃণমূলের (TMC)ভোট কমল ৩০ হাজার। বিজেপির (BJP) ভোট কমেছে ২০ হাজার। অন্যদিকে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর ভোট বেড়েছে ৫০ হাজার। উপনির্বাচনের এই ফলাফলকে বাম (CPIM) এবং কংগ্রেস (Congress) উভয় পক্ষই সুদূরপ্রসারী বলে দাবি করছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md. Salim) বলেন, তৃণমূলের লুট এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ জাগছে। বিজেপিকেও মানুষ আর নিচ্ছে না। তৃণমূল-বিজেপি যে এক, সেটাও মানুষ বুঝে গিয়েছে। সাগরদিঘির ফল তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একজোট করে আগামী দিনে ওই দুই দলের বিরুদ্ধে লড়তে চাই। তা সে পঞ্চায়েত ভোট হোক, পুরসভা হোক, বিধানসভা বা লোকসভা ভোট, যাই হোক না কেন। তাতে কংগ্রেস এলে ক্ষতি নেই, অন্য ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এলে ক্ষতি নেই, বামফ্রন্টের বাইরে থাকা কোনও গোষ্ঠী এলেও ক্ষতি নেই। এই ফলাফলে মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সেটা বামপন্থীদের বুঝতে হবে। কংগ্রেসকেও বুঝতে হবে।
ফলাফলে উচ্ছ্বসিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেছেন, এই জোট সম্ভাবনাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। অধীর অবশ্য ভোটের আগেই বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে নিচু তলায় জোট কেউ ঠেকাতে পারবে না। এদিন ফলপ্রকাশের পর অধীর বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের ভোট যেমন পেয়েছেন, তেমনি বিজেপির এক অংশেরও ভোট পেয়েছেন। এই ফলাফলে প্রমাণ হয়েছে, কংগ্রেস মরে যায়নি। তৃণমূল তো সবসময় দাবি করে, কংগ্রেস নাকি মরে গিয়েছে।
অধীরের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই সাগরদিঘির ফলাফল নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, এটা অনৈতিক জোট। তা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। রাম-বাম-কংগ্রেস সব এক হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলকে হারাতে ওই তিন দল এক হয়েছে। তাতে অবশ্য লাভ হবে না। ওই তিন দলকে মোকাবিলা করতে তৃণমূল একাই যথেষ্ট। এই প্রসঙ্গেই মমতা জানিয়ে দেন, ২০২৪এ লোকসভা ভোটে তৃণমূল কোনও বিরোধী জোটে যাবে না। তারা একাই লড়বে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কোন দল দেবে, তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। সেই চর্চার মধ্যেই মমতা এদিন পরিষ্কার ইঙ্গিত দেন, তৃণমূল একাই চলবে।