ইরান: নারীশিক্ষা (Women Education) বন্ধ করতে মেয়েদের স্কুলগুলিতে একেরপর এক গ্যাস হামলার (Gas Attacks) ও বিষ খাওয়ানোর (Poisoning) মতো অমানবিক কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে ইরানের মৌলবাদীরা। এই ঘটনায় দেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশ কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সংসদীয় ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য মহম্মদ-হাসান আসাফারি সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত নভেম্বর মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া ওই গ্যাস হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩০টি স্কুলের পাঁচ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইরান। মেয়েরা বাড়ির বাইরে বেরলেই হিজাব পরার আদেশ দেয় ইরান সরকার। এই ব্যক্তিস্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ইরানের মেয়েরা পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন। এরই মধ্যে ঠিকমতো হিজাব না পরার জন্য মাসা নামে বছর বাইশের এক তরুণীকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। এরপর অবস্থা আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। মেয়েরা তাঁদের মাথার চুল কেটে ফেলে, গায়ের পোশাক খুলে প্রতিবাদে পথে নামেন। প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা যায় সে দেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরাও। প্রতিবাদ রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নেয় ইরান সরকারও। একাধিক আন্দোলনকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর পরই তদন্তকারীরা রিপোর্ট করতে শুরু করে। সেখান থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: Afghanistan : আফগানিস্তানের পাশে বন্ধু দেশ, ২০ হাজার টন গম পাঠাবে ভারত
সূত্রের খবর, মেয়েদের স্কুলগুলিতে ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রীদের শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা সহ বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। অনেক ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি কোরতে হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিষের ধরণ শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিষের ধরণ সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সোমবার বলেন, এই ঘটনা একটি ক্ষমাযোগ্য অপরাধ। তিনি অপরাধীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন, তারপরই নড়েচড়ে বসে ইরানের প্রশাসন। হোয়াইট হাউস ইরানের ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।