কলকাতা: গরু পাচার মামলায় জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূলের (Tmc) বিধায়ক (Mla) এবং প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে( Jakir Hussain) ফের তলব করল ইডি (Ed)। ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি সহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের কাগজ সহ আগামী সপ্তাহে দিল্লির (Delhi) ইডি দফতরে জাকিরকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এর আগে ২ মার্চ প্রাক্তন এই মন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। তবে ওই দিন হাজিরা দেননি।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতর। মুর্শিদাবাদ জেলায় জঙ্গিপুর সহ বেশকিছু এলাকায় জাকির হোসেনের একাধিক বাড়ি, বিড়ি কারখানা এবং বিএড কলেজ রয়েছে। জেলায় খুব ধনী বলেই পরিচিতি রয়েছে তাঁর। জাকিরের বাড়িতে হানা দিয়ে বেশকয়েক কেটি নদগ টাকা বাজেয়াপ্ত করে আয়কর দফতর। তাঁর দাবি, বিড়ি শ্রমিক (Worker) এবং চাষীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার জন্য বাড়িতে এই টাকা রাখা হয়েছিল। তিনি আয়কর হানার পর আরও দাবি করেছিলেন, তাঁর সমস্ত নথিপত্র (Documents) জমা দেওয়া আছে আয়কর দফতরে। তিনি আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওযার হুমকিও দিযেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি আইনি পথে যাননি।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee | মমতার বিরুদ্ধে মামলা করতে চান না বিকাশরঞ্জন, জমা দিলেন হলফনামা
বিরোধীদের অভিযোগ, গরু পাচার-কাণ্ডে(Cattle trafficking) এই তৃণমূল বিধায়কেরও যোগ রয়েছে।তাঁর বহু ব্যবসায় গরু পাচারের টাকা খেটেছে।জাকির অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিরোধী দলগুলির আরও অভিযোগ, গরু পাচারের রুটই হল বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলি। সিবিআই যথাযথ তদন্ত করলে শাসকদলের উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার আরও অনেক নেতার নাম বেরিয়ে আসবে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়ে দিল্লিতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন।মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে। তাঁকেও পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে ইডি। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল বুধবার। যদিও তা এড়িয়ে যায়ন কেষ্ট-কন্যা। তাঁকে ২০মার্চের মধ্যে ফের দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হযেছে।