Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাMinority Welfare Department | সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে সরানো হল গুলাম রব্বানিকে

Minority Welfare Department | সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে সরানো হল গুলাম রব্বানিকে

Follow Us :

কলকাতা: সংখ্যালঘু (Minority) বিষয়ক মন্ত্রীর (Minister) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল গুলাম রব্বানিকে (Gulam Rabbani)। তাঁকে উদ্যান পালন (Horticulture)  দফতরের মন্ত্রী করা হল। সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর ফের নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় Mamata Banerjee)। 

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর (TMC Candidate) পরাজয়ের পর অভিযোগ ওঠে, যে  সংখ্যালঘু ভোট (Minority Vote) দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের একচেটিয়া ছিল, তাতে ধস নেমেছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তা মানতে রাজি নন। কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘুরা আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। তারও আগে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এত কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী করেও কেন এই ফল হল, আপনারা খতিয়ে দেখুন। সেদিনই তিনি ফলাফল পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। সেই কমিটির সব সদস্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। গুলাম রব্বানিকেও সেই কমিটিতে রাখা হয়। সেই কমিটি অবশ্য তাদের রিপোর্টও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়ে দিয়েছে। 

আরও পড়ুন: Migrant Workers Welfare Board | পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদ গড়ল রাজ্য 

তৃণমূল সূত্রের খবর, রব্বানি সংথ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন বুঝতে পারেননি বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর যায়। তা ছাড়া আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাও তিনি মেটাতে পারেননি। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট ছিলেন। সাগরদিঘিতে হারের পরই সমখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান গুলাম আলি আনসারিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই পদে বসানো হয় আইএএস অফিসার পি বি সালিমকে। এবার রব্বানিকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে সেই দফতর নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালে সংখ্যালঘু দফতর মতার হাতেই ছিল। পরে গিয়াসুদ্দিন মোল্লাকে প্রতিমন্ত্রী করেন মমতা। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে সংখ্যালঘু উন্নয়ন এবং মাদ্রাসা দফতরের দায়িত্ব মমতা দেন রব্বানিকে। সতী্র্থদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনিই এখন এই দফতর সামলাবেন। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হবে। এই পর্ষদের চেয়ারম্যান কে হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। 

সম্প্রতি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারিকে ঘিরেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তৃণমূল সরকারের উপর রুষ্ট হয়েছে বলে মনে করছে নবান্ন। ধর্মতলায় বিক্ষোভের জন্য নওশাদ এবং তাঁর কয়েকজন অনুগামীকে এক মাসেরও বেশি জেল খাটানোর কোনও দরকার ছিল না বলে দলের অন্দরেই কথা উঠেছিল। অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন এই ইস্যুতে প্রকাশ্যেই তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেছেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আর ঝুঁকি নিতে চান না বলেই মুখ্যমন্ত্রী রব্বানিকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে সরিয়ে দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

RELATED ARTICLES

Most Popular